নোয়াখালী জেলার মানচিত্র
নোয়াখালী জেলার মানচিত্র

নোয়াখালীতে ঘরে ঢুকে অস্ত্রের মুখে কিশোরীকে অপহরণের অভিযোগ

নোয়াখালী সদর উপজেলায় ঘরে ঢুকে অস্ত্রের মুখে শিশু ভাই-বোনকে জিম্মি করে এক কিশোরীকে (১৭) অপহরণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উপজেলার দাদপুর ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। কিশোরী স্থানীয় একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এ বছর এসএসসি পাস করেছে। ঘটনার পর রাতেই কিশোরীর পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করা হয়। কিন্তু আজ বুধবার দুপুরে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত পুলিশ অপহৃত কিশোরীকে উদ্ধার কিংবা ঘটনার সঙ্গে জড়িত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।

থানায় দায়ের করা লিখিত অভিযোগে কিশোরীর মা উল্লেখ করেন, বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়ার সময় একই এলাকার শাহ আলমের ছেলে মো. সেজান (১৮) তাঁর মেয়েকে (ভিকটিম) প্রেম নিবেদন করত। তাতে সাড়া না পেয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে দলবল নিয়ে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সাতটার দিকে বাড়িতে হানা দেন সেজান ও তাঁর সহযোগীরা। তাঁরা ঘরে ঢুকে অস্ত্রের মুখে তাঁর ৩ বছর ও ১১ বছরের দুই সন্তানকে জিম্মি করে কিশোরী মেয়েকে জোরপূর্বক অপহরণ করে নিয়ে যান। তখন তাঁর স্বামী মসজিদে মাগরিবের নামাজে ছিলেন। তিনিও ঘরে নামাজ পড়ছিলেন। চিৎকার শুনে তিনি এগিয়ে যেতেই অপহরণকারীরা তাঁর মেয়েকে তাঁদের মোটরসাইকেলে তুলে অজ্ঞাত স্থানে চলে যান।

কিশোরীর বাবা প্রথম আলোকে বলেন, ঘটনার পর তাঁরা বিভিন্ন দিকে খোঁজাখুঁজি করেছেন। পরে তাঁর স্ত্রী বাদী হয়ে সুধারাম থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন। কিন্তু পুলিশ এখন পর্যন্ত তাঁর মেয়েকে উদ্ধার কিংবা ঘটনার সঙ্গে জড়িত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। এ পরিস্থিতিতে তিনি মেয়ের জন্য চরম দুশ্চিন্তা ও হতাশায় রয়েছেন। তিনি অবিলম্বে তাঁর মেয়েকে উদ্ধার এবং অভিযুক্ত ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।

ঘটনার বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহেদুল হক প্রথম আলোকে বলেন, কিশোরী অপহরণের শিকার হওয়ার বিষয়ে তাঁরা একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছেন। অপহৃত কিশোরীকে উদ্ধারে এবং অভিযুক্ত ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনতে কাজ চলছে। ওসির দাবি, প্রাথমিকভাবে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী অস্ত্রের মুখে অপহরণের কথা সঠিক নয়, ওই কিশোরীর সঙ্গে অভিযুক্ত ছেলের আগে থেকে বন্ধুত্ব ছিল। এরপরও পরিবারের অভিযোগ তারা গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছেন।