নির্বাচন
নির্বাচন

উপজেলা পরিষদ নির্বাচন

সুবর্ণচরের চার কেন্দ্রে পুনরায় ভোট গণনার দাবি

নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের চারটি কেন্দ্রের ফলাফল বাতিল করে পুনরায় ভোট গ্রহণের দাবি জানিয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তা বরাবর আবেদন করেছেন পরাজিত প্রার্থী এ এইচ এম খায়রুল আনম চৌধুরী। ওই চার কেন্দ্রে ভোট গণনায় অনিয়ম হয়েছে দাবি করে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে তিনি এই আবেদন করেন।

খায়রুল আনম চৌধুরী উপজেলা পরিষদের তিনবারের চেয়ারম্যান। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্বেও রয়েছেন তিনি। গতকাল বুধবার অনুষ্ঠিত নির্বাচনে নোয়াখালী-৪ (সদর ও সুবর্ণচর) আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ একরামুল করিম চৌধুরীর ছেলে আতাহার ইশরাক শাবাব চৌধুরীর কাছে তিনি পরাজিত হয়েছেন। নির্বাচনের বেসরকারি ফলাফল অনুযায়ী আতাহার ইশরাক আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ৩৭ হাজার ৬৪৮ ভোট, তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী খায়রুল আনম চৌধুরী দোয়াত-কলম প্রতীকে পেয়েছেন ৩৬ হাজার ৯৪৫ ভোট।

লিখিত অভিযোগে আওয়ামী লীগ নেতা এ এইচ এম খায়রুল আনম চৌধুরী উল্লেখ করেন, বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সুবর্ণচরের চর মহিউদ্দিন উচ্চবিদ্যালয়, চর মহিউদ্দিন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চর মহিউদ্দিন এন এ প্রো সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও হাজীপুর বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে তাঁর কর্মী-সমর্থক ও ভোটারদের আসতে বাধা দেওয়া হয়েছে। এরপরও ভোটাররা কেন্দ্রে গিয়ে তাঁকে ভোট দিয়েছেন। চারটি কেন্দ্রেই প্রথমে ভোট গণনায় তিনি বিজয়ী হয়েছেন। কিন্তু পরে তাঁর এজেন্টদের কেন্দ্র থেকে বের করে দিয়ে কারচুপির মাধ্যমে চারটি কেন্দ্রে ভোটের ফলাফলকে প্রভাবিত করা হয়েছে।

লিখিত অভিযোগে বলা হয়, বেসরকারি ফলাফলে দেখা গেছে পুরো উপজেলায় ১ হাজার ৯১৪ ভোট বাতিল দেখানো হয়েছে, যা সম্পূর্ণ অবৈধ ও অযৌক্তিক। উল্লিখিত বাতিল ভোটের বিষয়ে কেন্দ্রে তাঁর এজেন্টরা আপত্তি করলেও প্রিসাইডিং কর্মকর্তারা তাতে কর্ণপাত করেননি। এজেন্টদের তথ্য অনুযায়ী—বাতিল হওয়া বেশির ভাগ ভোট তাঁর প্রতীক দোয়াত-কলমের। বাতিল করা ভোট গণনার পাশাপাশি চারটি কেন্দ্রের ফলাফল বাতিল করে পুনরায় ভোট গ্রহণের দাবি জানান এ এইচ এম খায়রুল আনম চৌধুরী।

জানতে চাইলে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা জ্যেষ্ঠ নির্বাচন কর্মকর্তা মো. নওয়াবুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, এক প্রার্থীর অভিযোগ তিনি পেয়েছেন। তবে এই অভিযোগ নিয়ে তাঁর কিছুই করার নেই। প্রার্থীকে নির্বাচনী আইন অনুযায়ী সরকারি গেজেট প্রকাশের এক মাসের মধ্যে নির্বাচনী প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনালে মামলা করতে হবে। প্রিসাইডিং কর্মকর্তা কেন্দ্রে ফলাফল ঘোষণার পর সেটির ওপর প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কোনো হস্তক্ষেপ করার সুযোগ নেই। এ বিষয়ে কেবল আদালতই সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন।