চট্টগ্রাম নগরের প্রেসক্লাবের সামনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ। আজ বিকেলে
চট্টগ্রাম নগরের প্রেসক্লাবের সামনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ। আজ বিকেলে

চট্টগ্রামে ছাত্রদের মানববন্ধন

‘পতিত স্বৈরাচারের দোসরদের সরিয়ে দিতে হবে’

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক মোহাম্মদ রাসেল আহমেদ বলেন, ‘৫ আগস্টের পর থেকে এখন পর্যন্ত ফ্যাসিস্ট শক্তি বিভিন্ন রকমের তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। আওয়ামী লীগের দোসররা ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও ছাত্র-জনতা এখনো রাজপথে আছে। পতিত স্বৈরাচারের দোসরদের কোনোভাবেই অন্তর্বর্তী সরকারে স্থান দিতে পারে না। ইতিমধ্যে যাঁরা জায়গা পেয়েছেন, তাঁদের সরিয়ে দিতে হবে।’

আজ মঙ্গলবার বিকেলে চট্টগ্রাম নগরের প্রেসক্লাবের সামনে ‘বিপ্লবের চেতনা নিয়ে গঠিত উপদেষ্টা পরিষদে ফ্যাসিবাদের দোসরদের স্থান দিয়ে শহীদদের রক্তের অবমাননা’র প্রতিবাদে করা মানববন্ধনে রাসেল আহমেদ এ কথা বলেন।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চট্টগ্রাম জেলার সমন্বয়ক জোবায়েরুল আলম বলেন, ‘আমরা দলীয় পরিবর্তন চাইনি। ব্যক্তির পরিবর্তনও চাইনি। আমরা সিস্টেমের (ব্যবস্থা) পরিবর্তন চেয়েছিলাম। যাঁরা এখন সভা-সমাবেশ করে দলীয় বক্তব্য দিচ্ছেন, তাঁরা নিজেদের ছেলেমেয়ের কাছে প্রশ্ন করুন। তাঁরা আগামী দিনে কেমন বাংলাদেশ চান, তা জানুন।’

জোবায়েরুল আলম বলেন, ‘আপনাদের সন্তানেরা বলবেন, তাঁরা একটা নিরাপদ, বৈষম্যহীন, ন্যায়বিচারসম্পন্ন বাংলাদেশ চান। এই কথাগুলোই আপনারা মিডিয়ার সামনে এসে বলুন।’

সংস্কারের প্রসঙ্গ টেনে জোবায়েরুল আলম বলেন, ‘যে সংস্কার হবে, সেখানে যাতে কোনো দলীয় ব্যক্তির এজেন্ডা বাস্তবায়িত না হয়। আমরা রক্ত দিয়েছি। আমরা জীবন দিয়েছি। আমরা একাত্তর ও নব্বই থেকে শিক্ষা নিয়ে চব্বিশের বিপ্লবকে বৃথা যেতে দেব না। সব পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তাকে প্রতিটি কাজের জন্য জনগণের কাছে জবাবদিহি করতে হবে।’

কর্মসূচিতে সরকারি হাজি মুহাম্মদ মহসিন কলেজের সমন্বয়ক এ টি এম বাপ্পি বলেন, ‘এই অন্তর্বর্তী সরকার হলো ছাত্র-জনতার সরকার। ফলে সরকারের কাছে অনুরোধ, ছাত্র-জনতার ম্যান্ডেটের বাইরে গিয়ে কাউকে উপদেষ্টা করবেন না।’

কর্মসূচি চট্টগ্রামের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।