জামালপুর পৌর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি নূর হোসেন
জামালপুর পৌর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি নূর হোসেন

জামালপুর-৫

‘যদি গুন্ডামি করতে চান, চলেন মাঠে নামি’

জামালপুর-৫ (সদর) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. আবুল কালাম আজাদের সমর্থকদের পৌর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি নূর হোসেন হুমকি দিচ্ছেন, এমন একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। গতকাল সোমবার দুপুরে শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের পরিবেশ বিনষ্টের প্রতিবাদে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. রেজাউল করিমের সমর্থকেরা মানববন্ধন করেন। সেখানে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থক নূর হোসেন এই হুমকি দেন।

ভিডিওতে দেখা যায়, নূর হোসেন বলছেন, ‘যদি গুন্ডামি করতে চান, তাহলে আপনাদের (নৌকা) আমরা (ঈগল) ঘোষণা দিতে চাই। চলেন মাঠে নামি। আপনারা এক পাশে থাকবেন আর আমরা এক পাশে থাকব। এসব গুন্ডামি জামালপুরে চলবে না।’

আওয়ামী লীগের প্রার্থীর উদ্দেশে নূর হোসেন বলেন, ‘আমাদের জীবননাশের হুমকি দেন। এসব গুন্ডামি জামালপুরে চলবে না। সুষ্ঠু, সুন্দর ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে। তাই কাউকে হুমকি-ধমকি দিয়ে এবং শরীরে আঘাত করে, ঝগড়া বাজাতে যাবেন না। তার পরিণাম ভালো হবে না।’

এই বিষয়ে নৌকার প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘জামালপুর সদর একটি শান্তিপ্রিয় এলাকা। নির্বাচনের মাঠে পক্ষ-প্রতিপক্ষ থাকবে, এটাই স্বাভাবিক। প্রতিদ্বন্দ্বীর সঙ্গে আরেক প্রতিদ্বন্দ্বীর ভোটারদের মন জয় করার প্রতিযোগিতা থাকবে। আমি একজন শান্তিপ্রিয় মানুষ। আমি ভোটারদের মন জয় করেই নির্বাচিত হতে চাই। তাই আমি দিন-রাত ভোটারদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে ভোট প্রার্থনা করে যাচ্ছি। আমি ও আমার সমর্থকেরা কখনো উচ্ছৃঙ্খল বা উসকানিমূলক বক্তব্য দিইনি। অথচ নিজের জনপ্রিয়তা না থাকায় মাঠে ঘোষণা দিয়ে উত্তেজনা ও বিশৃঙ্খল পরিবেশ তৈরিতে লিপ্ত আছে একটি পক্ষ (স্বতন্ত্র)। তারা সুষ্ঠু ভোটের পরিবেশ নষ্ট করার পাঁয়তারা করছে। এতে সাধারণ ভোটাররা কিছুটা আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়ছেন।’

জামালপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুহাম্মদ মহব্বত কবীর প্রথম আলোকে বলেন, যেকোনো সহিংসতা রোধে পুলিশ তৎপর। এই আসনে টহলরত পুলিশের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। যে প্রার্থীর কর্মীই হোক, কেউ সহিংসতার চেষ্টা করলে ছাড় নয়। ওই বক্তব্যের ব্যাপারে কেউ লিখিত অভিযোগ দিলে, বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে।

এ বিষয়ে কথা বলার জন্য নূর হোসেনের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হয়। কিন্তু তিনি কল ধরেননি। পরে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. রেজাউল করিমের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হয়। তিনিও কল ধরেননি।