অপহরণ
অপহরণ

রাজশাহী থেকে অপহৃত নারী চিকিৎসক পাবনায় উদ্ধার

রাজশাহী থেকে অপহরণের এক দিন পর নারী চিকিৎসককে পাবনা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাতে র‌্যাব-১২–এর পাবনা ক্যাম্পের সদস্যরা শহরের মনরাবাদ আবাসিক এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁকে উদ্ধার করেন। এ সময় অপহরণের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে চারজনকে আটক করা হয়েছে।

অপহৃত চিকিৎসক (২৬) রাজশাহীর ইসলামী ব্যাংক মেডিকেল কলেজ থেকে সম্প্রতি ব্যাচেলর অব ডেন্টাল সার্জারি (বিডিএস) শেষ করেছেন। তাঁর বাবা পানি উন্নয়ন বোর্ডের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা। তিনি পরিবার নিয়ে নগরের চন্দ্রিমা আবাসিক এলাকায় থাকেন। গত সোমবার ভোরে এই বাসা থেকেই বাবা-মেয়েকে তুলে নিয়ে যায় অপহরণকারী। ওই চিকিৎসকের বাবাকে পথে সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা থানা এলাকায় ফেলে রাখে অপহরণকারীরা।

র‌্যাব-১২ পাবনা ক্যাম্প সূত্রে জানা যায়, ঘটনার পর থেকেই র‌্যাব ওই নারী চিকিৎসককে উদ্ধারে কাজ করছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল বিকেল থেকে অভিযান শুরু করা হয়। রাত একটার পর্যন্ত অভিযান চলে। জেলা শহরের মনসুরাবাদ আবাসিক এলাকার একটি বাসা থেকে ওই চিকিৎসককে উদ্ধার ও এক যুবককে আটক করা হয়। আটক যুবকের নাম তানভীন খান (৩০)। তাঁর বাড়ি পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার বামনডাঙ্গা গ্রামে। পরে ওই যুবকের তথ্য অনুযায়ী অপহরণের সঙ্গে জড়িত তাঁর এক সহযোগী ও দুজন গাড়িচালককে আটক করা হয়।

র‌্যাব-১২ পাবনা ক্যাম্পের কমান্ডার মোহাম্মদ ইলিয়াস খান বলেন, আটকের পর তানভীন খান প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে দাবি করেন, তিনি ওই চিকিৎসকের স্বামী। কিন্তু বেশ কিছুদিন মেয়েটি ও তাঁর পরিবার তাঁর (তানভীন খান) সঙ্গে যোগাযোগ করছিল না। এ জন্য তিনি মেয়েটিকে অপহরণ করেন। তবে ওই নারী চিকিৎসক বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, ২০২১ সাল থেকে তানভীন তাঁকে উত্ত্যক্ত করছেন; বিয়ের প্রস্তাব দিতেন। কিন্তু তিনি বিয়েতে রাজি হয়নি। ছেলেটি তাঁর পরিবারকে কয়েকবার হুমকিও দিয়েছেন; ভয়ভীতি দেখাচ্ছিলেন। এর একপর্যায়ে তাঁকে অপহরণ করা হয়েছে।

র‌্যাব কমান্ডার মোহাম্মদ ইলিয়াস খান প্রথম আলোকে বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আটক ব্যক্তিদের র‌্যাব ক্যাম্পে রাখা হয়েছে। পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন আছে। পরে তাঁদের পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হবে।