বাসচাপায় তিনজন নিহতের পর পদচারী–সেতুর দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ

বাস চাপায় মা-মেয়ে–ছেলের মৃত্যুর পর পদচারী সেতুর দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ করেন এলাকাবাসী। শনিবার মির্জাপুরের পাকুল্যাতে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে
ছবি : প্রথম আলো

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের পাকুল্যাতে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে বাসচাপায় মা, মেয়ে ও ছেলে নিহতের পর আজ শনিবার সকালে ঘটনাস্থলে পদচারী–সেতুর দাবিতে সড়ক অবরোধ করেন স্থানীয় ব্যক্তিরা। বেলা সাড়ে তিনটার দিকে সে অবরোধ তুলে নেওয়া হয়েছে।

অবরোধের খবর পেয়ে মির্জাপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আমিনুল ইসলাম ও গোড়াই হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোল্লা টুটুল ঘটনাস্থলে গিয়ে অবরোধকারীদের শান্ত করার চেষ্টা করেন। কিন্তু অবরোধকারীরা তাঁদের দাবিতে অনড় থাকেন। এতে মহাসড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ঈদের ছুটি শেষে কর্মস্থলে ফেরা হাজারও যাত্রীকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়।

প্রশাসনের কর্মকর্তারা ১৫ দিনের মধ্যে পদচারী–সেতুর কাজ শুরুর আশ্বাস দিলে বেলা সাড়ে তিনটার দিকে এলাকাবাসী অবরোধ তুলে নেন।

বাসের চাপায় নিহত ব্যক্তিরা হলেন উপজেলার বাঁশতৈল গ্রামের পারভিন আক্তার (২৭), তাঁর মেয়ে সাদিয়া আক্তার (৯) ও ছেলে সুমন (৭)। পুলিশ ও এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, পারভিন তাঁর বাবার বাড়ি উপজেলার পানিশাইল গ্রাম থেকে ছেলে-মেয়েকে সঙ্গে করে স্বামীর বাড়ি যাচ্ছিলেন।

যাত্রাপথে মহাসড়ক পার হওয়ার সময় যাত্রীবাহী বাস তাঁদের চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই সাদিয়া মারা যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় মা ও ছেলেকে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁদের টাঙ্গাইলে শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে আবাসিক চিকিৎসক লুৎফর রহমান মৃত ঘোষণা করেন।

দুর্ঘটনার পর পাকুল্যা বাসস্ট্যান্ডে পদচারী–সেতুর দাবিতে এলাকাবাসী মহাসড়ক অবরোধ করেন। স্থানীয় মিনহাজ উদ্দিন বলেন, ওই স্থানে মাঝেমধ্যেই হতাহতের ঘটনা ঘটে। এলাকাবাসী একটি পদচারী–সেতুর দাবিতে এর আগে মানববন্ধন ও মহাসড়ক অবরোধ কর্মসূচি পালন করেছেন। প্রশাসন ও সড়ক বিভাগের কর্মকর্তারা আশ্বাস দিলেও তা বাস্তবায়ন করেননি।