দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলায় বেলুন ফোলানোর সময় গ্যাসের সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দুই কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল সোমবার রাত আটটায় উপজেলার পাল্টাপুর কুমারপাড়া গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পাল্টাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তহিদুল ইসলাম।
নিহত দুই কিশোর হলো বীরগঞ্জ উপজেলার পাল্টাপুর ইউনিয়নের কুমারপাড়া গ্রামের নিখিল চন্দ্র পালের ছেলে সীমান্ত পাল (১৭) এবং একই গ্রামের প্রতাপ চন্দ্র পালের ছেলে প্রসেনজিৎ পাল (১৩)। তারা সম্পর্কে চাচাতো ভাই।
পুলিশ ও নিহত দুই কিশোরের পরিবার সূত্রে জানা যায়, সীমান্ত পালের বাবা নিখিল চন্দ্র পাল সিলিন্ডারের গ্যাস দিয়ে বেলুন ফোলানোর ব্যবসা করেন। সন্ধ্যায় নিখিল চন্দ্র পাল ও তাঁর স্ত্রী পূজামণ্ডপে যান। এ সময়ে বাড়িতে বসে গ্যাস ভরে বেলুন ফোলানোর কাজ করছিল নিখিল চন্দ্রের ছেলে সীমান্ত পাল। তার পাশে বসে সহযোগিতা করছিল চাচাতো ভাই প্রসেনজিৎ পাল। হঠাৎ বিকট শব্দে সিলিন্ডারটি বিস্ফোরিত হয়।
স্থানীয় লোকজন ছুটে এসে তাদেরকে উদ্ধার করে দিনাজপুরের এম আবদুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসেন। সেখানে চিকিৎসক তাদের দুজনকেই মৃত ঘোষণা করেন।
বীরগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ময়নুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। বেলুন ফোলানোর গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। বিষয়টি প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে। সিলিন্ডার বিস্ফোরণে তাদের বাড়ির কিছু অংশ ধসে গেছে। ওই দুই কিশোরের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য দিনাজপুরের এম আবদুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। এ বিষয়ে বীরগঞ্জ থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা করা হয়েছে।
এ বিষয়ে দিনাজপুর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের জ্যেষ্ঠ স্টেশন অফিসার মেহফুজ তানজীর বলেন, সাধারণত এ ধরনের ঘটনা খুব কমই ঘটে। কয়েকটি কারণে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটতে পারে। প্রথমত, ধারণক্ষমতার চেয়ে বেশি মাত্রায় গ্যাস ভরানো থাকে। দ্বিতীয়ত, সিলিন্ডারের মেয়াদোত্তীর্ণ হলে এবং গ্যাস বের হওয়ার সময় সিগারেট কিংবা অন্য কোনো উপায়ে আগুনের সংস্পর্শ পেলে। তবে যাঁরা গ্যাস বেলুনের ব্যবসা করেন, তাঁরা গোপনে এই সিলিন্ডারগুলো রিফিল (পুনরায় গ্যাস ভরেন) করেন। দিনাজপুরে এ ধরনের গ্যাস বেলুনের ব্যবসায় যাঁরা যুক্ত আছেন, খোঁজ নিয়ে শিগগিরই তাঁদের নিয়মের আওতায় আনতে চেষ্টা করা হবে।