৩০০ টাকা মজুরি নির্ধারণের দাবিতে সারা দেশে ধর্মঘট পালন করছেন চা-শ্রমিকেরা। আজ দুপুর ১২টার দিকে সিলেটের মালনীছড়া চা-বাগান এলাকায়
৩০০ টাকা মজুরি নির্ধারণের দাবিতে সারা দেশে ধর্মঘট পালন করছেন চা-শ্রমিকেরা। আজ দুপুর ১২টার দিকে সিলেটের মালনীছড়া চা-বাগান এলাকায়

মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে ষষ্ঠ দিনের মতো চলছে চা–শ্রমিকদের ধর্মঘট

চা–বাগানের শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে ধর্মঘট কর্মসূচি ষষ্ঠ দিনের মতো চলছে। সিলেটসহ সারা দেশের ১৬৭টি চা–বাগানে একযোগে কর্মসূচি পালন করছেন শ্রমিকেরা। এতে বাগানে চা–পাতা তোলা বন্ধ থাকায় চা উৎপাদনও বন্ধ রয়েছে।

শনিবার থেকে চা–শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি ১২০ টাকা থেকে বৃদ্ধি করে ৩০০ টাকা করার দাবিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য এ ধর্মঘট পালন করছেন শ্রমিকেরা। মজুরি বৃদ্ধির জন্য বাগানমালিক কর্তৃপক্ষ, মজুরি বোর্ড, চা শ্রমিক ইউনিয়নের নেতাদের সঙ্গে দুই দফা বৈঠকের পরও দাবি পূরণ না হওয়ায় ধর্মঘট অব্যাহত আছে।

ধর্মঘট কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সিলেটের বিভিন্ন বাগানের শ্রমিকেরা কাজে যোগ দেননি। তাঁরা বাগানের সামনে এবং সড়কের পাশে অবস্থান নেন। এ সময় তাঁদের হাতে বিভিন্ন স্লোগানসংবলিত প্ল্যাকার্ড দেখা যায়।

বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়ন সিলেট ভ্যালির সভাপতি রাজু গোয়ালা প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল বুধবারের বৈঠকে চা–শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি ১২০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৪০ টাকার প্রস্তাব করা হয়েছে। তবে এ প্রস্তাবে রাজি না হয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন শ্রমিক এবং সংগঠনের নেতারা। ৩০০ টাকা মজুরি না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তাঁরা।

৩০০ টাকা মজুরির দাবিতে ৯ আগস্ট থেকে চার দিন দুই ঘণ্টা করে কর্মবিরতি এবং গত শনিবার থেকে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট করছেন চা-শ্রমিকেরা। মঙ্গলবার ধর্মঘট বন্ধে শ্রম অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খালেদ মামুন চৌধুরী শ্রীমঙ্গলের বিভাগীয় শ্রম দপ্তরে চা শ্রমিক ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতাদের নিয়ে বৈঠক করেন। বৈঠকে সমঝোতা না হওয়ায় গতকাল ঢাকায় ত্রিপক্ষীয় বৈঠকের আয়োজন করে শ্রম অধিদপ্তর। সেখানেও সমঝোতা না হওয়ায় ধর্মঘট চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন শ্রমিকনেতারা।