পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির সমন্বয় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার। মঙ্গলবার বিকেলে সুবিদখালী মহিলা কলেজ মিলনায়তনে
পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির সমন্বয় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার। মঙ্গলবার বিকেলে সুবিদখালী মহিলা কলেজ মিলনায়তনে

বর্তমান সরকারকে লালনপালন করা পবিত্র দায়িত্ব: রুহুল আমিন হাওলাদার

বর্তমান সরকারকে লালনপালন করা পবিত্র দায়িত্ব বলে মন্তব্য করেছেন পটুয়াখালী-১ আসনের (সদর-মির্জাগঞ্জ-দুমকি) প্রার্থী ও জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার। আজ মঙ্গলবার বিকেলে পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার সুবিদখালী মহিলা কলেজ মিলনায়তনে উপজেলা আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির নেতা-কর্মীদের সমন্বয় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার বলেছেন, ‘নেত্রী আমাকে স্বাধীনতা দিয়েছেন। স্বাধীনতার ফসল যাঁদের হাতে, সেই নেতা-কর্মীদের কাছে পাঠিয়েছেন। আমি আবারও প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। তিনি না হলে পদ্মা সেতু হতো না, তিনি না হলে আমাদের পায়রা বন্দর হতো না, পাওয়ারপ্ল্যান্ট হতো না। আমাদের এই সরকারকে লালনপালন করা পবিত্র দায়িত্ব।’

রুহুল আমিন হাওলাদার আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী আমার মা না-ও হতে পারেন। কিন্তু তিনি আমার মায়ের মর্যাদায় আছেন। প্রধানমন্ত্রী ইতিমধ্যে আধুনিক বাংলা গড়ে তুলেছেন। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার জন্য তিনি অনেক পথ অতিক্রম করেছেন। এবার শপথ গ্রহণ করে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর বাংলাদেশকে প্রতিযোগিতায় সিঙ্গাপুর ও ইউরোপের যেকোনো দেশের সঙ্গে তুলনা করতে পারবেন।’

মির্জাগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গাজী আত্হার উদ্দীন আহমেদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মো. জসিম উদ্দিন ওরফে জুয়েল ব্যাপারীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মান্নান, সহসভাপতি সুলতান আহম্মেদ মৃধা, মো. শাহজাহান খান, মির্জাগঞ্জ উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি সুবিদখালী মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ আবদুর রহমান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মো. ইসমাইল হোসেন মৃধা প্রমুখ বক্তৃতা করেন।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পটুয়াখালী-১ আসনে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ছিলেন সাবেক ধর্মপ্রতিমন্ত্রী শাহজাহান মিয়া। বার্ধক্যের কারণে শাহজাহান মিয়ার মৃত্যুর পর উপনির্বাচনে দলীয় মনোনয়নে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সংসদ সদস্য হন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আফজাল হোসেন। তবে আফজাল হোসেনের শপথ গ্রহণের তিন দিনের মাথায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়। তিনি দলীয় মনোনয়ন পেয়েছিলেন। কিন্তু জাতীয় পার্টির সঙ্গে আসন সমঝোতার কারণে সরে দাঁড়ান আফজাল হোসেন।

বর্তমানে আসনে লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে জাপার এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার ছাড়াও মাঠে আছেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের কে এম আনোয়ারুজ্জামান (মশাল), বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের মহিউদ্দিন মামুন (ছড়ি), বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন মো. খলিল (ফুলের মালা), ন্যাশনাল পিপলস পার্টির মো. নজরুল ইসলাম (আম) ও বাংলাদেশ কংগ্রেস পার্টির মো. নাসির উদ্দিন তালুকদার (ডাব)।