সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও প্রশাসনিক পদে বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই নিয়োগ করার দাবি জানানো হয়েছে। আজ সোমবার দুপুরে ক্যাম্পাসের প্রশাসনিক ভবনের সম্মেলনকক্ষে সংবাদ সম্মেলন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীরা এই দাবি জানান। পরে তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্যের কাছে একই দাবিতে স্মারকলিপি দেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের এম রাশেদ হাসনাত। তিনি বলেন, ১৯৯৫ সালে সিলেটের কৃষি ও গ্রামীণ মানুষের জীবনমানের উন্নয়নের লক্ষ্যে তৎকালীন অর্থ ও পরিকল্পনামন্ত্রী এম সাইফুর রহমানের হাতে গড়া সিলেট সরকারি ভেটেরিনারি কলেজ থেকে ২০০৬ সালে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। পরে ফ্যাসিবাদী স্বৈরশাসনের দেড় যুগ ধরে সেই অগ্রযাত্রা ব্যাহত হয়। এ সময়ে নিবেদিতপ্রাণ শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা নানাবিধ বৈষম্যের শিকার হন। আন্তর্জাতিক মানের বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে উন্নীত করার লক্ষ্যে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণকারী ত্যাগী ও পরীক্ষিত শিক্ষকদের মধ্য থেকে উপাচার্য ও প্রশাসনিক পদসমূহে নিয়োগ করা হোক।
এম রাশেদ হাসনাত আরও বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার বিষয়গুলো বিবেচনা করে বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই প্রশাসনিক পদগুলোতে নিয়োগের ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে আশাবাদী তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য ছিদ্দিকুল ইসলামের কাছে একই দাবিতে স্মারকলিপি দেওয়া হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এ টি এম মাহবুব ই ইলাহী, কাজী মেহেতাজুল ইসলাম, সামিউল আহসান তালুকদার, কাওছার হোসেন, এমদাদুল হক, মোহাম্মদ মাহবুব ইকবাল প্রমুখ।