কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগ সভাপতির নেতৃত্বে তিন শিক্ষককে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ

কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ সভাপতির নেতৃত্বে তিন শিক্ষককে লাঞ্ছিত করার অভিযোগে গণতান্ত্রিক শিক্ষক ফোরামের (একাংশ) সংবাদ সম্মেলন। আজ মঙ্গলবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরিনারি অনুষদের সম্মেলনকক্ষে
ছবি: প্রথম আলো

ময়মনসিংহে অবস্থিত বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন গণতান্ত্রিক শিক্ষক ফোরামের (একাংশ) সাধারণ সম্পাদক পূর্বা ইসলামসহ তিন শিক্ষককে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি খন্দকার তায়েফুর রহমানের নেতৃত্বে আজ মঙ্গলবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী শিক্ষকেরা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরিনারি অনুষদের সম্মেলনকক্ষে আজ রাত ৮টার দিকে গণতান্ত্রিক শিক্ষক ফোরামের (একাংশ) সংবাদ সম্মেলন থেকে এ অভিযোগ করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, আজ বিকেলে ভেটেরিনারি অনুষদ ভবনে অনুষদের লেভেল ৪–এ দ্বিতীয় সেমিস্টারের পরীক্ষা চলছিল। এ সময় আফতাব দুর্বার নামের এক পরীক্ষার্থীকে কিছু শিক্ষার্থী মারধর করতে উদ্যত হন। কক্ষে দায়িত্বরত একজন শিক্ষক বিষয়টি ওই বিভাগের শিক্ষক ও গণতান্ত্রিক শিক্ষক ফোরামের একাংশের সাধারণ সম্পাদক পূর্বা ইসলামকে জানান। তিনি দ্রুত বিষয়টি প্রশাসনকে জানালে কিছুক্ষণের মধ্যেই প্রক্টর ও শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ঘটনাস্থলে যান। এ সময় আফতাব একই ভবনে শিক্ষক পূর্বা ইসলামের কক্ষে গিয়ে আশ্রয় নেন। তবে প্রক্টর বিষয়টি সমাধান না করেই পূর্বা ইসলামের কক্ষ থেকে চলে যান।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয় এরপর ছাত্রলীগের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি তায়েফুর রহমানের নেতৃত্বে একদল ছাত্র সেখানে প্রবেশ করেন। তাঁরা আফতাবকে মারধর করতে উদ্যত হন। এ সময় পূর্বা ইসলাম ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর আফরিনা মুস্তারি তাঁকে রক্ষা করতে যান। ছাত্ররা তখন ওই দুই শিক্ষকসহ তিনজনকে লাঞ্ছিত করেন। তবে আরেক শিক্ষক সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন না।

সংবাদ সম্মেলনে গণতান্ত্রিক শিক্ষক ফোরামের একাংশের সভাপতি এম এ এম ইয়াহিয়া খন্দকার, সহকারী প্রক্টর আফরিনা মুস্তারিসহ বেশ কয়েকজন শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন।

জানতে চাইলে ছাত্রলীগের সভাপতি খন্দকার তায়েফুর রহমান বলেন, আফতাব দুর্বারের নামে মাদকসহ বিভিন্ন বিষয়ে আটটি অভিযোগ আছে। তাঁকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কারের দাবি সাধারণ শিক্ষার্থীদের। আফতাব পরীক্ষা দিতে আসার খবর পেয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীরা তাঁকে মারধর করতে যান। তাঁর উপস্থিতিতে কোনো শিক্ষার্থী কোনো শিক্ষককে লাঞ্ছিত করেননি। তাঁকে হেয় করার জন্য ইস্যু সৃষ্টি করার উদ্দেশ্যে এসব প্রচার করা হচ্ছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মুহাম্মদ মহির উদ্দিনের মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন ধরেননি।