খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, ‘এ বছর দেশে প্রচুর ফসল উৎপাদন হয়েছে। সরকারের সঠিক পদক্ষেপের কারণে খাদ্য উৎপাদন বেড়েছে। যে কারণে বিদেশ থেকে খাদ্য আমদানি করা প্রয়োজন হবে না। আমরা প্রয়োজন মিটিয়ে বিদেশে খাদ্য রপ্তানির সম্ভাবনা দেখছি।’
শনিবার বিকেলে বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার সান্তাহারে সান্তাহার সেন্ট্রাল স্টোরেজ ডিপোর (সিএসডি) ব্যবস্থাপকের কার্যালয় ও আনসার ব্যারাক উদ্বোধন শেষে এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘দেশে খাদ্য উৎপাদন যেভাবে বাড়ছে, এতে খাদ্য মজুদ করে রাখার জন্য আরও গুদাম নির্মাণ করতে হবে। এ জন্য আমরা প্রস্তুতি নিয়েছি। কৃষকবান্ধব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার কৃষকের ফসলের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে ধানের দাম ২৮ টাকার পরিবর্তে ৩০ টাকা নির্ধারণ করেছে। প্রতি বিঘায় এবার ২০ থেকে ৩০ মণ ফসল ফলেছে। এতে কৃষক ও ভোক্তা উভয়েই খুশি।’
সরকার সাড়ে ১২ লাখ মেট্রিক টন চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে উল্লেখ করে সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, ‘শতভাগ চুক্তি হয়েছে। ইতোমধ্যে ৩ লাখ ২৫ হাজার মেট্রিক টন চাল সংগ্রহ করা হয়েছে। আশা করি, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শতভাগ লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে।’
সাড়ে চার বছর ধরে করোনাভাইরাস মহামারি ও রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধ খাদ্যনিরাপত্তায় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল মন্তব্য করে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, বিরোধী পক্ষগুলো লাখ লাখ মানুষ মারা যাবে বলে অপপ্রচার করেছিল। কিন্তু শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশে একজন মানুষও না খেয়ে মারা যাননি।
এ সময় সান্তাহার সাইলো সড়ক সংস্কারসহ স্থানীয় খাদ্য বিভাগের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেন খাদ্যমন্ত্রী। অনুষ্ঠানে খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. সাখাওয়াত হোসেন, রাজশাহীর আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক জহিরুল ইসলাম, বগুড়ার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা) দিনেশ সরকার, নওগাঁ জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. তানভির রহমান, বগুড়া জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কাজী সাইফুদ্দিন, আদমদীঘি উপজেলা চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম খান, সান্তাহার সিএসডির ব্যবস্থাপক মো. হারুন উর রশীদ, সহকারী পুলিশ সুপার নাজরান রউফ, আদমদীঘি উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মনিরা সুলতানা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।