যশোর আদালত চত্বরে আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীদের স্লোগানের প্রতিবাদে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিক্ষোভ সমাবেশ। আজ সোমবার দুপুরে যশোরের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত প্রাঙ্গণে
যশোর আদালত চত্বরে আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীদের স্লোগানের প্রতিবাদে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিক্ষোভ সমাবেশ। আজ সোমবার দুপুরে যশোরের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত প্রাঙ্গণে

যশোর আদালতে আত্মসমর্পণ করা আওয়ামী লীগ নেতা–কর্মীদের স্লোগানের প্রতিবাদে বিক্ষোভ

আত্মসমর্পণ করতে গিয়ে যশোর আদালত চত্বরে আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীদের স্লোগান দেওয়ার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা–কর্মীরা। আজ সোমবার দুপুরে যশোরের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত প্রাঙ্গণে এই কর্মসূচিতে সমর্থন জানিয়ে অংশ নেন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী সমিতির সদস্যরা।  

সমাবেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন যশোরের আহ্বায়ক রাশেদ খান বলেন, নাশকতার মামলায় যশোর আদালতে আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মী আত্মসমর্পণ করতে গিয়ে আদালত চত্বরে বিশৃঙ্খলা করেছেন। যাঁরা খুনি শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের পক্ষে স্লোগান দিয়েছেন, তাঁদের আইনের আওতায় আনতে হবে।

রাশেদ খান বলেন, বিগত সময়ে বিচার বিভাগকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছিল ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার। তাদের ফ্যাসিজমের কারণে প্রধান বিচারপতিকেও দেশ ছাড়তে হয়েছিল। বিচার বিভাগকে আর প্রশ্নিবিদ্ধ হতে দেবে না ছাত্র–জনতা। দেশকে নিয়ে যেকোনো ষড়যন্ত্র রুখে দেবে ছাত্র–জনতা। সবাইকে নিজ নিজ জায়গা থেকে সজাগ থাকার আহ্বান জানান তিনি।

কর্মসূচি থেকে ‘জুলাই–আগস্টের গণহত্যার বিচার, গণ–অভ্যুত্থানের নায়কদের গুম, খুন, গুপ্ত হত্যা বন্ধ করার’ দাবির পাশাপাশি ‘জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে আদালতের পরিবেশ নষ্ট করা’ ও ‘শিক্ষার্থীদের গ্রাফিতি নষ্ট করার’ প্রতিবাদ জানানো হয়।

এর আগে গতকাল রোববার যশোর সদর ও অভয়নগর উপজেলার পৃথক তিনটি নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডের মামলায় আওয়ামী লীগের ১৩২ নেতা–কর্মী আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। বিচারক জামিন নামঞ্জুর করে তাঁদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। আসামিদের প্রিজন ভ্যানে তোলার সময়ে ‘জয় বাংলা’, ‘শেখ হাসিনা ভয় নাই, রাজপথ ছাড়ি নাই’, ‘জাতির পিতা শেখ মুজিব, লও লও লও সালাম’ এসব স্লোগান দিতে থাকেন। তখন আদালত এলাকায় উত্তপ্ত পরিবেশের সৃষ্টি হয়। পরে এর কয়েকটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।