অর্থঋণ আদালতের মামলায় পটুয়াখালীর আওয়ামী লীগ নেত্রী জাকিয়া সুলতানাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে শহরের ফায়ার সার্ভিস সড়ক এলাকার বাসা থেকে জাকিয়া সুলতানাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
জাকিয়া সুলতানা পটুয়াখালী জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। পটুয়াখালী সদর থানার ওসি মোহাম্মদ জসীম গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, তাঁকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
জাকিয়া সুলতানার স্বামী সিরাজুল ইসলাম ১৯৮৫ সালে সোনালী ব্যাংক পটুয়াখালী শাখা থেকে শহরের বিসিকে স্থাপিত পটুয়াখালী টেক্সটাইল মিল লিমিটেডের নামে ২ কোটি ২৩ লাখ ২৪ হাজার টাকা ঋণ নিয়েছিলেন। পটুয়াখালী টেক্সটাইল মিল লিমিটেডের ৭৫ ভাগ মালিকানা ও প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ছিলেন সিরাজুল ইসলাম এবং জাকিয়া সুলতানার মালিকানা ছিল ২৫ ভাগ। সিরাজুল ইসলামের মৃত্যুর পর শতভাগ মালিক হন জাকিয়া সুলতানা।
ঋণদাতা সোনালী ব্যাংক পটুয়াখালী শাখা ব্যবস্থাপক মো. জিল্লুর রহমান জানান, ১৯৮৫ সালে প্রতিষ্ঠানটির নামে ঋণ গ্রহণের পর এক টাকাও পরিশোধ না করায় ১৯৯৪ সালে প্রতিষ্ঠানটিকে ঋণখেলাপি ঘোষণা করা হয়। এই ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত সুদসহ আরোপ হয়েছে ৮ কোটি ৩৮ লাখ টাকা। ঋণখেলাপি ঘোষণার পর ব্যাংক কর্তৃপক্ষ ২০০৪ সালে পটুয়াখালী অর্থঋণ আদালতে একটি মামলা করে। মামলা চলমান অবস্থায় মারা যান প্রধান বিবাদী সিরাজুল ইসলাম। এখন মূল বিবাদী সিরাজুল ইসলামের স্ত্রী জাকিয়া সুলতানা।
২০২৩ সালের ২১ নভেম্বর অর্থঋণ আদালত থেকে প্রতিষ্ঠানটির বর্তমান মালিক জাকিয়া সুলতানার নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। সোনালী ব্যাংকের আইনজীবী আবদুল খালেক প্রথম আলোকে বলেন, ঋণের বিপরীতে এক–চতুর্থাংশ টাকা জমা দিতে হবে। কিন্তু তিনি তা দেননি। আদালত থেকে আগামী রোববার এ মামলার শুনানির জন্য দিন ধার্য করা হয়েছে।