বগুড়ার শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে হিরো আলমকে দেখে এগিয়ে আসেন ক্রিকেটার শফিউল ইসলাম। সেখানে শফিউলদের একটি ক্রিকেট ম্যাচ চলছিল
বগুড়ার শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে হিরো আলমকে দেখে এগিয়ে আসেন ক্রিকেটার শফিউল ইসলাম। সেখানে শফিউলদের একটি ক্রিকেট ম্যাচ চলছিল

শহীদ চান্দু স্টেডিয়াম

হিরো আলমের দাবির সঙ্গে একাত্মতা ক্রিকেটার শফিউলের

বগুড়ার শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে ভেন্যু বাতিলের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারে আশরাফুল হোসেন ওরফে হিরো আলমের দাবির সঙ্গে একাত্মতা জানালেন জাতীয় দলের ক্রিকেটার শফিউল ইসলাম ওরফে সুহাস। এই স্টেডিয়ামে আগের পরিবেশ ফিরে আসুক, সেটি চান জাতীয় দলের এই পেস বোলার।

শহীদ চান্দু স্টেডিয়াম থেকে মালামাল, জনবল প্রত্যাহারসহ ভেন্যু বাতিলের প্রতিবাদে আজ মঙ্গলবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করেন হিরো আলম। এ সময় স্টেডিয়ামে প্রিমিয়ার লিগে জাতীয় দলের ক্রিকেটার শফিউল ইসলামের নিউ মুন স্টার ক্লাবের সঙ্গে সূত্রাপুর স্পোর্টিং ক্লাবের ম্যাচ চলছিল। হিরো আলমকে স্টেডিয়ামে দেখে এগিয়ে আসেন ক্রিকেটার শফিউল ইসলাম। শফিউলকে চেনার পর হিরো আলম তাঁকে কাছে ডেকে নেন। এ সময় শফিউলের উদ্দেশে হিরো আলম বলেন, ‘শফি ভাই, আপনি মনে করেন পিলিয়ার। ক্রিকেটার হিসেবে মন্তব্য করেন তা চাচ্ছি না। আপনার বাসা তো বগুড়া। বগুড়ার সাধারণ জনগণ হিসেবে আপনার দাবি কী?’

তখন ক্রিকেটার শফিউল ইসলাম শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামকে নিজের ক্যারিয়ারের ‘আঁতুড়ঘর’ উল্লেখ করে এটাকে ‘সেরা ভেন্যু’ মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, ‘সব ক্রিকেটারই বলেন, এ মানের স্টেডিয়াম আর নেই। এ মাঠে সবাই খেলতে চান। আমি চাই এখানে আগের পরিবেশ ফিরে আসুক।’

শফিউল ইসলামের কথার সঙ্গে হিরো আলম যোগ করেন, ‘বগুড়াবাসীর গর্ব, বগুড়ায় এত সুন্দর একটা স্টেডিয়াম আছে। বগুড়ার ছয়জন ছেলেমেয়ে জাতীয় দলে খেলছেন। বড় বড় ক্রিকেটার। আমরা চাই বগুড়ায় এত সুন্দর স্টেডিয়ামে বছরে অন্তত একটা–দুটা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচ হোক।’

এর আগে শহীদ চান্দু স্টেডিয়াম থেকে মালামাল, জনবল প্রত্যাহারসহ ভেন্যু বাতিলের প্রতিবাদে হিরো আলম দুপুর পৌনে ১২টায় মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন করেন। সেখানে তিনি বলেন, একশ্রেণির লোক সিন্ডিকেট হয়ে কাজ করছে। তারা চায় না বগুড়া স্টেডিয়াম থাক। স্টেডিয়ামটি অকার্যকর করে জুয়া, মেলা ও গরুর-ছাগলের হাট বসানোর পাঁয়তারা চলছে। চান্দু স্টেডিয়ামের ভেন্যু বাতিল এবং মালামাল সরানো নিয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডেরও (বিসিবি) সমালোচনা করেছেন হিরো আলম। মালামাল ফেরত চেয়ে মাঠটিতে আগের মতো খেলা চালুর দাবি জানিয়েছেন তিনি। না হলে কঠোর আন্দোলন করার কথাও বলেন তিনি।

বগুড়া জেলা ক্রীড়া সংস্থার সঙ্গে দ্বন্দ্বের জের ধরে স্টেডিয়ামের মূল মালিক জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের (এনএসসি) কাছে স্টেডিয়ামটি হস্তান্তরের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিসিবি। গত বৃহস্পতিবার এনএসসি সচিব বরাবর পাঠানো বিসিবির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়। ওই দিনই শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে কর্মরত বিসিবির ১৭ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে বগুড়া থেকে প্রত্যাহার করে মিরপুরে বিসিবির কার্যালয়ে রিপোর্ট করতে বলা হয়। এ ছাড়া স্টেডিয়ামে থাকা রোলার, সুপার সপার, পিচ কাভারসহ মাঠ ও খেলার যাবতীয় সরঞ্জাম এবং ড্রেসিংরুমের আসবাব ঢাকায় নিয়ে গেছে বিসিবি।