রংপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ হত্যা মামলার ১৪ আসামির বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন আদালত। আজ বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি জানিয়েছেন মামলার প্যানেল আইনজীবী রোকনুজ্জামান, শামীম আল-মামুন ও রায়হান কবির।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, গত ১৮ জুলাই আবু সাঈদের বড় ভাই রমজান আলী বাদী হয়ে দায়ের করা মামলায় ১৭ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। এঁদের মধ্যে রংপুর মহানগর পুলিশের সাবেক সহকারী উপপরিদর্শক (এসএসআই) আমির আলী ও কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায় ইতিমধ্যে গ্রেপ্তার হয়েছেন এবং অপর আসামি পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) আবদুল্লাহ আল মামুন অন্য একটি মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আছেন। বাকি ১৪ জন আসামি এখনো গ্রেপ্তার হননি।
যে ১৪ জন আসামির বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে, তাঁরা হলেন পুলিশের রংপুর রেঞ্জের সাবেক উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) আবদুল বাতেন, রংপুর মহানগর পুলিশের সাবেক কমিশনার মো. মনিরুজ্জামান, সহকারী কমিশনার আরিফুজ্জামান ও আল ইমরান হোসেন, উপকমিশনার আবু মারুফ হোসেন, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা রাফিউর রহমান, একই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মশিউর রহমান, আসাদুজ্জামান মণ্ডল, তাজহাট থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রবিউল ইসলাম, এসআই বিভূতিভূষণ, ছাত্রলীগ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি পোমেল বড়ুয়া, ছাত্রলীগের কর্মী টগর, বাবুল হোসেন ও শামীম মাহফুজ।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়েছে, ১৪ আসামির বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা চেয়ে গত ৩০ সেপ্টেম্বর রংপুর মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিআইবি) রংপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) জাকির হোসেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল বুধবার বিকেলে বিচারক আসাদুজ্জামান ১৪ আসামির বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা জারির আদেশ দেন।
গত ১৬ জুলাই বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ নম্বর ফটকে পুলিশের গুলিতে নিহত হন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ। তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ছিলেন। গত ১৮ জুলাই নিহত আবু সাঈদের বড় ভাই রমজান আলী বাদী হয়ে ১৭ জনের নামোল্লেখ এবং অজ্ঞাত আরও ১৩০-১৩৫ জনকে আসামি করে একটি মামলা করেন।