মেহেরপুর

খাসজমির মাটি বিক্রি করে দিলেন নেতা 

সদর উপজেলার আমঝুপি ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে মাটি কাটার অভিযোগ পাওয়া গেছে। 

মেহেরপুর জেলার মানচিত্র
মেহেরপুর জেলার মানচিত্র

মেহেরপুর সদর উপজেলার আমঝুপি ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মনজুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে সরকারি জমির মাটি কেটে বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে খোকশা পাকা সড়কটি যেকোন সময় ধসে পড়তে পারে। এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত এক কৃষক গত মঙ্গলবার আদালতে মামলা করেছেন।

মাটি কেটে নেওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক খোকশা গ্রামের সাদিকুল ইসলাম অভিযোগ করেন, গত সপ্তাহে খোকশা গ্রামের পাকা সড়কের গা ঘেঁষে চার কাঠা খাস জমির মাটি কেটে বিক্রি করে দিয়েছেন মনজুরুল ইসলাম। ওই জমি দিয়ে কৃষকেরা খেতের ফসল নিয়ে যাতায়াত করতেন। এখন খেতের ফসল কেটে বাড়ি নেওয়ার কোনো রাস্তা থাকল না। মনজুরুল এলাকার প্রভাবশালী ব্যক্তি হওয়ায় কেউ প্রতিবাদ করতে পারছেন না। তিনি এ ঘটনায় আদালতে মামলা করেছেন।

সরকারি জমির মাটি কাটার অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে মনজুরুল ইসলাম বলেন, ‘সামাজিক বিরোধ থাকায় এলাকায় কয়েকজন মাটি কাটার ঘটনায় আমার বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছেন। মানুষের প্রয়োজনে আমাকে দিয়ে মাটি কাটায়। আমি তো জোর করে কারও জমির মাটি কাটি না। এ নিয়ে অনেকে মিথ্যা অভিযোগ করেন।’

স্থানীয় লোকজন বলেন, মনজুরুল ইসলামের মূল ব্যবসা কৃষি জমির মাটি কেটে ইটের ভাটায় বিক্রি করা। যুবলীগ নেতা হওয়ার কারণে ভয়ে তাঁকে কেউ কিছু বলতে পারেন না। এলাকায় বেশ কয়েকজনের তিন ফসলি জমির মাটি কেটে পুকুর করে দিয়েছেন তিনি। ওই পুকুরের মাটি ৬০০ থেকে ১ হাজার ১০০ টাকায় বিক্রি করেন ইটের ভাটায়।

সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা যায়, আমঝুপি বাজার থেকে ডান দিকের সোজা পথ খোকশা গ্রাম। পুরো সড়কটি নতুন করে পাকাকরণের কাজ করা হয়েছে। খোকশা বাজারের পাশেই সাদিকুল ইসলামের ১০ কাঠা ধানি জমি রয়েছে। ওই জমির সামনে দিয়ে মাঠে চলাচলের সড়ক ছিল। সড়কটির মাটি কেটে গর্ত করা হয়েছে, যাতে কেউ কৃষি জমিতে যেতে না পারেন। এতে এলাকার কৃষকেরা ধান, পাট, গমসহ অন্য ফসল কেটে বাড়িতে না নিতে পেরে বিপাকে পড়েছেন।

এলাকার দুজন কৃষক ধানের জমিতে গরু দিয়ে মই দিচ্ছিলেন ধানের চারা রোপণ করার জন্য। তাঁরা বলেন, সময়টা বড় খারাপ চলছে। ক্ষমতাসীন দলের নেতারা সরকারি জমির মাটি কাটলেও প্রতিবাদ করা যাচ্ছে না অহেতুক পুলিশি হয়রানির ভয়ে। 

এ বিষয়ে জানতে চাইল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কাজী নাজিব হোসেন বলেন,এ বিষয়ে এলাকার মানুষ লিখিত অভিযোগ দিলে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।