নোয়াখালীতে দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে গৃহবধূ, তাঁর মেয়ে ও মাকে কুপিয়ে জখম

কুপিয়ে জখম
প্রতীকী ছবি

নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলায় দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে গৃহবধূ, তাঁর মেয়ে ও মাকে কুপিয়ে জখমের ঘটনা ঘটেছে। আজ শুক্রবার ভোর সাড়ে চারটার দিকে উপজেলার অর্জুনতলা ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের ইদিলপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এক স্বজন ও প্রতিবেশীর দাবি, গৃহবধূর সাবেক স্বামী আমির হোসেন এই ঘটনা ঘটিয়েছেন।

জখমের শিকার তিনজন হলেন বিবি ফাতেমা (৩৮), তাঁর মেয়ে রাহেলা আক্তার (২০) ও মা মাফিয়া বেগম (৬০)।

স্বজন ও প্রতিবেশী মো. সুমন প্রথম আলোকে বলেন, তিন দিন আগে ফাতেমার বড় ছেলে বিদেশে যান। এই সুযোগে ফাতেমার সাবেক স্বামী আমির হোসেন (৫০) আজ ভোর সাড়ে চারটার দিকে দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে দা দিয়ে তাঁর সাবেক স্ত্রী, মেয়ে ও শাশুড়িকে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকেন। একপর্যায়ে তাঁদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে গেলে আমির হোসেন পালিয়ে যান। পরে আহত অবস্থায় তিনজনকে উদ্ধার করে নোয়াখালীর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়।

হাসপাতালটির আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) সৈয়দ মহিউদ্দিন আবদুল আজিম বলেন, ফাতেমা ও তাঁর মা মাফিয়ার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আর মেয়েটিকে তাঁদের হাসপাতালেই চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

স্বজন ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ২৬ বছর আগে পারিবারিকভাবে সোনাইমুড়ীর উপজেলার আমির হোসেনের সঙ্গে সেনবাগের ইদিলপুর গ্রামের ফাতেমার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই তাঁদের মধ্যে পারিবারিক কলহ চলছিল। তিন বছর আগে আমির হোসেন গোপনে আরেকটি বিয়ে করেন। এ নিয়ে পারিবারিক কলহ আরও বেড়ে যায়। যার জেরে তাঁদের মধ্যে ছাড়াছাড়ি হয়। ফাতেমা দুই ছেলে ও এক মেয়েকে নিয়ে ইদিলপুরে বাবার বাড়ির পাশে একটি নতুন বাড়ি করেন। এ নিয়ে আমির হোসেনের সঙ্গে তাঁদের বিরোধ চরমে পৌঁছায়।

সেনবাগ থানার ওসির দায়িত্বে থাকা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) মো. হেলাল উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। আমির হোসেন তাঁর সাবেক স্ত্রী, মেয়ে ও শাশুড়িকে কুপিয়ে আহত করেছেন বলে প্রাথমিকভাবে অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযুক্ত আমির হোসেনকে ধরতে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে। ভুক্তভোগীদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।