ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাব দূর হওয়ায় রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ও মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া নৌপথ আবারও চালু হয়েছে। ৩৬ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে এই নৌপথে ফেরি চলাচল শুরু হয়।
ঘূর্ণিঝড় রিমালের কারণে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে গত রোববার রাত সাড়ে ৯টা থেকে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। এর আগে নদী পাড়ি দিতে আসা বিভিন্ন ধরনের যানবাহন দৌলতদিয়া ও পাটুরিয়া ঘাটে আটকা পড়ে।
এ সম্পর্কে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক সালাহ উদ্দিন বলেন, আজ সকাল সোয়া ৯টার দিকে কর্তৃপক্ষের নির্দেশে দৌলতদিয়া থেকে ফেরি ছেড়ে যায়। বর্তমানে দৌলতদিয়ার ৩ ও ৪ নম্বর ঘাট দিয়ে যানবাহন পারাপার হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্ত ৭ নম্বর ঘাট মেরামত করা না পর্যন্ত বন্ধ থাকছে।
সরেজমিন দেখা যায়, ৭ নম্বর ফেরিঘাট সংযোগ সড়ক ভেঙে পন্টুন দূরে সরে গেছে। পন্টুনের মাথা পানির নিচে তলিয়ে আছে। মোটা রশি দিয়ে পন্টুনটি ধরে রাখা হয়েছে। সংযোগ সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ৩ ও ৪ নম্বর ঘাটের পন্টুনের সামনে ইটের আধলা ফেলে প্রাথমিক সংস্কার করা হয়েছে।
এদিকে ফেরি বন্ধ থাকায় ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের দৌলতদিয়া ফেরিঘাট থেকে ক্যানাল ঘাট পর্যন্ত প্রায় তিন কিলোমিটারজুড়ে ঢাকামুখী পণ্যবাহী যানবাহনের লম্বা সারি তৈরি হয়েছে। বেশির ভাগ গাড়ি রোববার রাতে এসে নদী পাড়ি দিতে না পেরে অপেক্ষায় রয়েছে।
মেহেরপুর থেকে আসা কাঁচা মরিচবোঝাই ট্রাকের চালক রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘রোববার রাত ৯টার দিকে দৌলতদিয়া ফেরিঘাটের অদূরে মহাসড়কের লম্বা লাইনে আটকা পড়ি। তখনই জানতে পারি, ঘূর্ণিঝড়ের কারণে ফেরি বন্ধ রয়েছে। দীর্ঘ সময় আটকে থাকায় কাঁচামাল পচে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ ছাড়া কাছে টাকা না থাকায় বাড়তি কষ্ট করতে হয়েছে।’
বিআইডব্লিউটিসি আরিচা কার্যালয়ের উপমহাব্যবস্থাপক শাহ মো. খালেদ নেওয়াজ বলেন, পাটুরিয়া ঘাটেও কিছু সমস্যা থাকায় মেরামত করা হয়েছে। বর্তমানে নদী শান্ত। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে পাটুরিয়া থেকে দুটি বড় ও একটি ছোট এবং দৌলতদিয়া থেকে দুটি বড় ও একটি ছোট ফেরি যানবাহন নিয়ে পারাপার কার্যক্রম শুরু করেছে। পর্যায়ক্রমে অন্য ফেরিগুলো চালু করা হবে।