চট্টগ্রাম বন্দর থেকে কনটেইনারে করে মালয়েশিয়া যাওয়া কুমিল্লার মনোহরগঞ্জের বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী কিশোর মো. রাতুল ইসলাম (১৪) অবশেষে বাড়িতে ফিরেছে। বাড়ি থেকে নিখোঁজের ৯৯ দিন পর ছেলেকে ফিরে পেয়ে খুশি তার মা-বাবাসহ স্বজনেরা।
গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় রাতুল মনোহরগঞ্জ উপজেলার ঝলম দক্ষিণ ইউনিয়নের সাতপুকুরিয়া গ্রামে তার বাড়িতে পৌঁছায়। রাতুলের বাবা মো. ফারুক মিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেন। ছেলেকে ফিরে পেয়ে বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়া সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন রাতুলের মা-বাবা। তবে কীভাবে কনটেইনারে করে মালয়েশিয়া চলে গিয়েছিল, সে বিষয়ে এখনো কিছু বলতে পারছে না রাতুল।
রাতুলের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে মুঠোফোনে কথা বলে জানা গেছে, গত মঙ্গলবার (২১ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ৯টায় ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায় রাতুল। রাতুলের সঙ্গে ছিলেন কুয়ালালামপুর বাংলাদেশ হাইকমিশনের কল্যাণ সহকারী মোকছেদ আলী। পরে ওই দিন রাত সাড়ে ১২টার দিকে রাতুলকে তার পরিবারের জিম্মায় দেওয়া হয়।
ফারুক মিয়া বলেন, তিনি পেশায় দিনমজুর। তাঁর তিন ছেলের মধ্যে রাতুল সবার বড়। গত বছরের ১৩ নভেম্বর বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয় রাতুল। পরে তাঁরা গত ২০ জানুয়ারি জানতে পারেন রাতুল মালয়েশিয়ায় আছে।
বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, ১২ জানুয়ারি চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ছেড়ে যাওয়া ‘এমভি ইন্টেগ্রা’ জাহাজের একটি খালি কনটেইনার মালয়েশিয়ার উদ্দেশে ছেড়ে যায়। ১৬ জানুয়ারি মালয়েশিয়ার কেলাং বন্দরে জাহাজের একটি খালি কনটেইনারের ভেতর থেকে মানুষের শব্দ শুনতে পান নাবিকেরা। এরপরই কেলাং বন্দর কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানান তাঁরা। ১৭ জানুয়ারি বাংলাদেশ সময় রাত ১০টায় জাহাজটি জেটিতে এনে কনটেইনার খুলে ওই কিশোরকে উদ্ধার করা হয়। পরবর্তী সময় গণমাধ্যমে প্রকাশিত ছবি ও ভিডিও দেখে রাতুলকে শনাক্ত করে পরিবারের সদস্যরা।