খাগড়াছড়ি জেলার মানচিত্র
খাগড়াছড়ি জেলার মানচিত্র

পানছড়িতে তিন ইউপিডিএফ কর্মীকে গুলি করে হত্যা, কাল সকাল-সন্ধ্যা অবরোধের ডাক

খাগড়াছড়ির পানছড়িতে ইউপিডিএফ প্রসীতপক্ষের তিন কর্মীকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। আজ বুধবার সকাল ১০টার দিকে পানছড়ির লতিবান ইউনিয়নের শান্তিরঞ্জনপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তিরা হলেন মন্যা চাকমা ওরফে সিজন (৫০), খরকসেন ত্রিপুরা ওরফে শাসন (৩৫) এবং পরান্টু চাকমা ওরফে জয়েন (২২)।

ইউপিডিএফের সংগঠক অংগ্য মারমা বলেন, নিহত ব্যক্তিরা ওই এলাকায় সাংগঠনিক কাজ করতেন। ১৩ থেকে ১৪ জনের একদল সন্ত্রাসী অতর্কিতভাবে তাঁদের ওপর হামলা করে পালিয়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই তাঁরা নিহত হন।

ইউপিডিএফ এই হত্যাকাণ্ডের জন্য ইউপিডিএফ-গণতান্ত্রিককে দায়ী করেছে। ইউপিডিএফ দলটিকে নব্য মুখোশধারী বাহিনী হিসেবে আখ্যা দিয়ে থাকে। জানতে চাইলে ইউপিডিএফের সংগঠক অংগ্য মারমা বলেন, নব্য মুখোশধারী বাহিনী (ইউপিডিএফ–গণতান্ত্রিক) এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে।

তবে ইউপিডিএফ–গণতান্ত্রিকের সভাপতি শ্যামল কান্তি চাকমা এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় জড়িত থাকার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, এটি ইউপিডিএফের অভ্যন্তরীণ দলীয় কোন্দলের কারণে ঘটেছে।

এদিকে ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে গণমাধ্যমে বিবৃতি দিয়েছে ইউপিডিএফ প্রসীতপক্ষ। বিবৃতিতে আগামীকাল বৃহস্পতিবার খাগড়াছড়িতে সকাল-সন্ধ্যা সড়ক অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।

খাগড়াছড়ি জেলা সংগঠক অংগ্য মারমা স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে বলা হয়, পার্বত্য চট্টগ্রামে নব্য মুখোশধারী সন্ত্রাসীদের মদদ দিয়েছিল শেখ হাসিনার সরকার। ৫ আগস্ট হাসিনা সরকারের পতন হলেও তাদের সহযোগী নব্য মুখোশ বাহিনীর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। গত বছর এই সন্ত্রাসীরা পানছড়ির পুজগাঙে বিপুল চাকমাসহ চারজনকে হত্যা করলেও তাদের বিরুদ্ধে সরকার-প্রশাসন কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।

আগামীকাল খাগড়াছড়ি জেলায় ঘোষিত সকাল-সন্ধ্যা সড়ক অবরোধ কর্মসূচি সফল করতে জেলার সব যানবাহনের মালিক-শ্রমিকের প্রতি আহ্বান জানানো হয় বিবৃতিতে।

তবে এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে পানছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জসিম উদ্দিন বলেন, তিনজন নিহত হওয়া খবর তিনি শুনেছেন। এলাকাটি দুর্গম হওয়ায় এখনো পুলিশ যেতে পারেনি।