বঙ্গোপসাগরে গভীর নিম্নচাপ সৃষ্টি হওয়ার প্রভাব পড়তে শুরু করেছে সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপকূলে। স্বাভাবিক জোয়ার ছাড়াই নদ-নদীগুলোতে পানি বেড়েছে।
শনিবার দুপুরের জোয়ারের সময় শ্যামনগর উপজেলার উপকূলবর্তী গাবুরা, পদ্মপুকুর, আটুলিয়া, বুড়িগোয়ালিনী, কৈখালী, রমজাননগর ও মুন্সিগঞ্জ এলাকায় নদীপারের বসবাসকারীদের কাছ থেকে জানা গেছে, স্বাভাবিক জোয়ার ছাড়া নদীতে দু-তিন ফুট পানি বেড়েছে।
আটুলিয়া গ্রামের জুবায়ের মাহমুদ জানান, উপকূলীয় এলাকায় শনিবার দুপুরের পর থেকেই ঝোড়ো বাতাস বইছে। দুপুরের জোয়ারে খোলপেটুয়া নদীতে স্বাভাবিক জোয়ার ছাড়া ২-৩ ফুট পানি বেড়েছে। উত্তাল হতে শুরু করেছে নদী। মাঝেমধ্যে বৃষ্টি হচ্ছে।
গাবুরা ইউনিয়ন থেকে হুদা মালি জানান, সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাব ও জোয়ারের কারণে খোলপেটুয়া ও কপোতাক্ষ নদে স্বাভাবিক জোয়ার ছাড়া ২-৩ ফুট পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে গাবুরার পরিস্থিতি এখন পর্যন্ত স্বাভাবিক রয়েছে।
চুনা নদীতে স্বাভাবিক জোয়ার ছাড়া পানি বেড়ে যাওয়ায় বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের কলবাড়ি এলাকায় ১৩টি জেলে পরিবারের বসতঘরের আঙিনায় জোয়ারের পানি উঠেছে।
শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাজিবুল বলেন, উপজেলায় ১৬৩টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এ ছাড়া প্রয়োজনে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও অন্য বহুতল ভবন নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য ব্যবহার করা হবে। জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলায় শুকনা খাবারসহ প্রয়োজনীয় ত্রাণসামগ্রী মজুত আছে। ঘূর্ণিঝড়ের সতর্কবার্তা দেখে সবাইকে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। কেউ যেন ঝুঁকি নিয়ে অনিরাপদ আশ্রয়ে না থাকেন।
উপজেলা প্রশাসন আরও জানায়, সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড় রেমালের ক্ষয়ক্ষতি কমাতে ও উদ্ধার তৎপরতা চালানোর জন্য ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি (সিপিপি), রেড ক্রিসেন্টসহ বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের স্বেচ্ছাসেবকদের প্রস্তুত রাখা হয়েছে। পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, ফায়ার সার্ভিস ও রোভার স্কাউটের সদস্যরাও যেকোনো ধরনের সহায়তার জন্য প্রস্তুত আছেন বলে জানা গেছে।