চট্টগ্রামে পূজামণ্ডপে ইসলামী গান পরিবেশনের সঙ্গে ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেউ জড়িত নন, এটি অপপ্রচার বলে দাবি করেছেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম।
মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, হিন্দু সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে বিশেষ করে ওই পূজামণ্ডপের দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের পক্ষ থেকেই মূলত যারা গান গাওয়ার জন্য আসছিল, তাদের আমন্ত্রণ করা হয়েছিল। তারা আমন্ত্রিত ছিল। তারা আমন্ত্রিত হিসেবেই গানটা গায়। যদিও এখন এটাকে ভিন্নভাবে নেওয়া হচ্ছে। একটা ভুল–বোঝাবুঝি বা একটা ভুল মেসেজের কারণে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়েছে। সুষ্ঠু তদন্তের মধ্য দিয়ে এটার সমাধান করা উচিত।
আজ শনিবার সকালে নারায়ণগঞ্জ শহরের মাসদাইরে অবস্থিত বাংলা ভবন কমিউনিটি সেন্টারে নারায়ণগঞ্জ মহানগর ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাথী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মঞ্জুরুল ইসলাম এসব কথা বলেন।
নারায়ণগঞ্জ মহানগর ইসলামী ছাত্রশিবিরের সভাপতি মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান রাকিবের সভাপতিত্বে সাথী সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর জামায়াতে ইসলামীর আমির মুহাম্মদ আবদুল জব্বার।
চট্টগ্রামে পূজামণ্ডপে ইসলামি গান পরিবেশন প্রসঙ্গে টেনে ইসলামী ছাত্রশিবিরের সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, ‘এটি একটি আলোচিত ইস্যু। আমরা ইসলামী ছাত্রশিবিরের পক্ষ থেকে স্পষ্ট করেছি, প্রথমত ইসলামী ছাত্রশিবিরের রানিং কোনো জনশক্তি বা ছাত্রশিবিরের কোনো জনশক্তি এই গান পরিবেশনের সঙ্গে সম্পৃক্ত নয়।
মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, ‘আদর্শিকভাবে শিবির একটা শক্তিশালী সংগঠন। যারা শিবিরের এই আদর্শিক আন্দোলনকে পছন্দ করে না, শিবিরের কার্যক্রমে যারা ভীতসন্ত্রস্ত, তারাই গুজব অপপ্রচার চালিয়ে আসছে। কিছু কিছু মিডিয়া যারা মূলত শিবিরের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। পূজামণ্ডপের এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে মামলাও করা হয়েছে এবং আমার জানামতে দুজন ব্যক্তি গ্রেপ্তার হয়েছে।’
দেশে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার চলমান আছে, জনগণের আশা–আকাঙ্ক্ষার জায়গা হলো এই সরকার উল্লেখ করে মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা বাজার থেকে শুরু করে বিভিন্ন জায়গায় দুর্নীতি দেখতে পাচ্ছি। অনিয়ন্ত্রিত বাজার। প্রশাসনের অনেক সেক্টরেই এখনো হাসিনা ও তাঁর রিজিমের হস্তক্ষেপ ও থাবা রয়ে গেছে। এখনো ফ্যাসিস্ট রিজিমের যারা বিগত সময়ে সহযোগিতা করেছে, তারা এখনো রাষ্ট্রের বিভিন্ন জায়গায় দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে। দ্রুত তাদের অপসারণ করা উচিত এবং দেশের নিরাপত্তা, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা এবং দেশের সম্পদ বৃদ্ধির জন্য ভালো ও দায়িত্বশীল নৈতিকতার মোড়কে যারা সমৃদ্ধ, এ রকম প্রশাসন দায়িত্বশীল দেওয়ার মধ্য দিয়ে প্রশাসনকে রান করানো উচিত।’
মঞ্জুরুল ইসলাম আরও বলেন, হিন্দু সম্প্রদায়ের পূজা চলমান আছে, রাষ্ট্রের দায়িত্ব হচ্ছে শতভাগ নিরাপত্তা দিয়ে এটাকে বাস্তবায়নের সুযোগ দেওয়া। এ দেশের জনগণেরও দায়িত্ব তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে, মিডিয়াকেও সেদিকে সোচ্চার থাকা এবং সত্য ঘটনা তুলে আনার মধ্য দিয়ে যদি অপ্রীতিকর কোনো ঘটনা ঘটে, দোষীদের চিহ্নিত করে দেওয়া।