বেইলি সেতুটির রেলিং ভেঙে গেছে। সেখানে বসে স্থানীয় কয়েকজন আড্ডা দিচ্ছেন
বেইলি সেতুটির রেলিং ভেঙে গেছে। সেখানে বসে স্থানীয় কয়েকজন আড্ডা দিচ্ছেন

ফরিদপুরে বেইলি সেতুর রেলিং ভেঙে ও পাটাতন দেবে চলাচল বন্ধ, দুর্ভোগে ২০ গ্রামের মানুষ

ফরিদপুরে একটি বেইলি সেতুর রেলিং ভেঙে ও পাটাতন দেবে গেছে। সেতুটির ওপর দিয়ে সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন ফরিদপুর সদর ও মধুখালী উপজেলার ২০টি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ।

স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রায় ৩৫ বছর আগে ফরিদপুর সদরের চাঁদপুর ও মধুখালী উপজেলার জাহাপুরের চাঁদপুর বাজারসংলগ্ন কুমার নদের ওপর বেইলি সেতুটি নির্মাণ করে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)। লোহার কাঠামোর বেইলি সেতুটি দৈর্ঘ্য প্রায় ১০০ ফুট এবং প্রস্থ ১২ ফুট। কুমার নদের পূর্ব পাড়ে সেতুটির পাশে চাঁদপুর বাজার, চাঁদপুর উচ্চবিদ্যালয়, চাঁদপুর ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ কয়েকটি জুট মিল। আর সেতুর পশ্চিম পাড়ের আছে নড়িখালী বাজার বাসস্ট্যান্ড, জাহাপুর বাজার, কাদিরদী বাজার, কাদিরদী উচ্চবিদ্যালয়, কাদিরদী দাখিল মাদ্রাসা ও কাদিরদী ডিগ্রি কলেজ। বিভিন্ন শ্রেণি–পেশার দুই হাজারের বেশি মানুষ প্রতিদিন সেতুটি দিয়ে চলাচল করেন। সেতুটি দিয়ে ১০ চাকার ট্রাকও চলাচল করতে দেখা গেছে। ২ নভেম্বর রাতে সেতুটির এক পাশে রেলিং ভেঙে ও পাটাতন দেবে গেছে। পরে সেতু দিয়ে সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

এলজিইডির ফরিদপুর সদর উপজেলা প্রকৌশলী দেবাশীষ বাগচী বলেন, এরই মধ্যে তিনি সেতুটি পরিদর্শন করেছেন। সেতুর রেলিং ভেঙে পড়া ও পাটাতন দেবে যাওয়ায় যানবাহন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ফলে সেতুর দুই পাশে বাঁশ বেঁধে চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ঝুঁকি নিয়ে কেউ যাতে চলাচল না করেন, সে জন্য লাল পতাকা টানানো হয়েছে।

চাঁদপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মাসুদ পারভেজ বলেন, এর আগে সেতুটির পাটাতন ফাঁক হয়ে দুর্ঘটনায় দুজন মারা গেছেন। পরে তিনি নিজ খরচে তা মেরামত করে দিয়েছেন। ১০ দিন আগে সেতুর মাঝখানের রেলিং ভেঙে গেছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। সেতু দিয়ে ছোট-বড় সব ধরনের যানবাহন চলাচল একেবারে বন্ধ হয়ে গেছে।

সেতুটি দিয়ে এখন আতঙ্কে হেঁটে চলাচল করতে হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কাদিরদী ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থী রাসেল শেখ।

সেতুর পাশে কুমার নদের পূর্ব পাড়ের বাসিন্দা টিপু সুলতান বলেন, সেতুটি দিয়ে কয়েকটি উপজেলার মানুষ চলাচল করেন। চার-পাঁচটি কারখানার গাড়ি এখান দিয়ে চলাচল করে। সেতু দিয়ে চলাচল বন্ধ হওয়ায় সবাই দুর্ভোগে পড়েছেন।

ফরিদপুর এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী শহিদুজ্জামান খান বলেন, সেতুটি দ্রুত মেরামত করে চলাচলের উপযোগী করতে উপজেলা প্রকৌশলীকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।