নাগরিক ঐক্যের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, ‘শেখ হাসিনা একটা প্রকল্প থেকেই শত শত কোটি টাকা কমিশন খেয়ে ফেলেছেন। বিদেশ থেকে ঋণ নিয়ে এসে কমিশনের মাধ্যমে সেই টাকা ভাগ-বাঁটোয়ারা করে নিয়েছেন। তাহলে ভাবেন দেশটা কোথায় ছিল? সরকারের পতনের দুই দিন আগেও ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার দাপট কমেনি। দেশে আর যেন কখনো ফ্যাসিবাদী সরকারের জন্ম না হয়, সে জন্য সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।’
আজ মঙ্গলবার বগুড়ায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত ব্যক্তিদের কবর জিয়ারত, স্বজনদের প্রতি সমবেদনা ও আর্থিক সহায়তা করতে এসে মাহমুদুর রহমান মান্না এসব কথা বলেন। এ সময় তাঁর সঙ্গে নাগরিক ঐক্যের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ্ কায়সার, শিবগঞ্জ উপজেলার সভাপতি শহীদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক আবদুল বাসেত প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিষয়ে মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘আমরা চাই, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষার জন্য যা যা করা দরকার, তাই করবে। পরে সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দেবে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সেই পথেই এগোচ্ছে।’ তিনি বলেন, ‘ব্যাপক আকারে রাষ্ট্র সংস্কার এখনো আসেনি। সমাজ পরিবর্তন নয়, সিস্টেমটা পরিবর্তন চাই। আর কোনো ফ্যাসিবাদ সরকার যাতে না আসতে পারে, কোনো স্বৈরাচার জাতির ঘাড়ে চড়ে বসতে না পারে, সে জন্য যা যা করা দরকার, তা করতে হবে। একজনের হাতে ক্ষমতা জিম্মি থাক, তা চাই না। পরিবর্তন চাই। তবে এমন পরিবর্তন নয় যে একজন ক্ষমতায় থেকে লুটেপুটে খাবে।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন প্রসঙ্গে মাহমুদুর রহমান বলেন, ‘এই ছাত্র আন্দোলন ইতিহাসের জ্বলন্ত অধ্যায় হয়ে থাকবে। রংপুরের আবু সাঈদ বন্দুকের নলের মুখে নিজের বুক পেতে দিয়ে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে আন্দোলনে ছাত্র-জনতাকে ঝাঁপিয়ে পড়তে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছেন।’
আন্দোলনে নিহত কাহালুর বীরকেদার গ্রামের কলেজছাত্র মনিরুল ইসলাম, বগুড়া সদরের এরুলিয়া এলাকার আবদুল মান্নান ও রিপন ফকির, বৃন্দাবনপাড়া এলাকার শিমুল ও রনি প্রামাণিকের কবর জিয়ারত করেন মান্না এবং স্বজনদের হাতে আর্থিক সহায়তা তুলে দেন।