রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলায় স্বর্ণালংকার ছিনিয়ে নিতে এক বৃদ্ধাকে হত্যার দায়ে বিশ্বজিৎ কুমার বিশ্বাস (২৫) নামের এক যুবককে মৃত্যুদণ্ডের রায় দিয়েছেন আদালত। রায়ে তাঁকে আরও ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজবাড়ী জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোসাম্মৎ জাকিয়া পারভিন আসামির উপস্থিতিতে এ হত্যাকাণ্ডের রায় দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেন আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) উজির আলী শেখ।
নিহত আশালতা দাস (৭৫) পাংশা উপজেলার সরিষা ইউনিয়নের প্রেমটিয়া গ্রামের বাসিন্দা। আসামি বিশ্বজিৎ কুমার বিশ্বাস একই গ্রামের সুজিৎ কুমার বিশ্বাসের ছেলে।
গত ১২ ফেব্রুয়ারি রাতে খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন আশালতা। ওই রাতেই স্বর্ণালংকার ছিনিয়ে নিতে বাড়িতে ঢুকে আশালতা দাসকে শ্বাসরোধ ও হাতুড়ি দিয়ে মাথায় আঘাত করে হত্যা করেন বিশ্বজিৎ।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণ সূত্রে জানা গেছে, গ্রামের বাড়িতে বৃদ্ধা আশালতা একাই থাকতেন। বাড়ির বাগান, পুকুরসহ জমিজমা স্থানীয় লোকজন দিয়ে দেখাশোনা করাতেন। গত ১২ ফেব্রুয়ারি রাতে খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন আশালতা। ওই রাতেই স্বর্ণালংকার ছিনিয়ে নিতে বাড়িতে ঢুকে আশালতা দাসকে শ্বাসরোধ ও হাতুড়ি দিয়ে মাথায় আঘাত করে হত্যা করেন বিশ্বজিৎ। পরদিন সকালে বাড়ির কাজের লোক বারান্দায় আশালতা দাসের লাশ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেন।
পরে মেয়ের জামাতা স্বপন কুমার বিশ্বাস অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করে পাংশা থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। পরে পুলিশ সন্দেহভাজন হিসেবে বিশ্বজিৎ কুমার বিশ্বাসকে গ্রেপ্তার করে। এ সময় তাঁর কাছ থেকে লুণ্ঠিত স্বর্ণালংকার ও হত্যার কাজে ব্যবহৃত হাতুড়ি উদ্ধার করা হয়। পরে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে তিনি জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন।
মামলার বাদী স্বপন কুমার বিশ্বাস বলেন, ২৬ জন সাক্ষীর স্বাক্ষ্য গ্রহণের পর রায় দিয়েছেন আদালত। এ রায়ে তাঁরা সন্তুষ্ট।