কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলায় ‘চিতাবাঘের’ বাচ্চা উদ্ধারের পর প্রশাসনের হস্তক্ষেপে এটি ভারতীয় সীমান্তে অবমুক্ত করা হয়। ১৬ জুন রাতে উপজেলার কর্তিমারী আরএস ফ্যাশনে বাচ্চাটি ঢুকে পড়েছিল। এ ঘটনায় বাচ্চাটির মা চিতাবাঘ এলাকায় থাকতে পারে বলে এলাকায় আতঙ্কের সৃষ্টি হয়। তবে বন বিভাগের কর্মকর্তারা এটিকে মেছো বিড়ালের বাচ্চা বলে দাবি করেছেন।
স্থানীয় বাসিন্দা ও প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, ১৬ জুন রাতে উপজেলার যাদুরচর ইউনিয়নের কর্তিমারী বাজারে একটি কাপড়ের দোকানে ছোট একটি চিতাবাঘের বাচ্চা ঢুকে পড়ে। পরে দোকানমালিক বাচ্চাটি ধরে তাঁর বাসায় আটকে রাখে। গত শনিবার প্রশাসন ও বন বিভাগের কর্মকর্তারা বাচ্চাটি উদ্ধার করে ভারতের মানকারচর সীমান্তে ১০৬৫ সীমান্ত পিলারের কাছে একটি ছোট জঙ্গলে ছেড়ে দেয়। এ সময় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
স্থানীয় বাসিন্দা আবদুস সালাম মিয়া বলেন, ভারত আসাম প্রদেশের মানকারচর পাহাড় থেকে বন্যার পানির স্রোতে ওই বাচ্চাটি বাংলাদেশ অভ্যন্তর রৌমারী উপজেলার যাদুরচর ইউনিয়নের কর্তিমারী বাজারে গভীর রাতে একটি দোকানে ঢুকে। পরে বাচ্চাটিকে দোকানমালিক উপজেলার রৌমারী সদর ইউনিয়নের চাক্তাবাড়ি গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে রাসেল ইসলামের বাড়িতে একটি খাচায় আটকে রাখা হয়।
কর্তিমারী আরএস ফ্যাশনের মালিক রাসেল ইসলাম বলেন, ‘শনিবার দিবাগত রাত প্রায় আড়াইটার দিকে আমার দোকানে চিতাবাঘের বাচ্চাটি প্রবেশ করে। প্রথমে মনে করি, সেটি বিড়াল। কিন্তু ভালো করে দেখি চিতাবাঘের বাচ্চা। পরে বাচ্চাটিকে ধরে খাচায় আটকিয়ে রাখি। আমি প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে খবর দিয়েছিলাম। শনিবার বন বিভাগের কর্মকর্তারা এসে বাচ্চাটি নিয়ে গেছে।’
রৌমারী বনবিভাগের কর্মকর্তা এ জেড এম ইকবাল হোসেন খান (ভারপ্রাপ্ত) বলেন, ‘গ্রামে একটি চিতাবাঘের বাচ্চা ঢুকে পড়ার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যাই এবং বাচ্চাটিকে উদ্ধার করি। সবাই চিতাবাঘের বাচ্ছা মনে করলেও সেটি আসলে একটি মেছো বিড়াল। শনিবার বাঘটিকে বিজিবি, বিএসএফ ও প্রশাসনের উপস্থিতিতে ভারতীয় সীমান্তে ছেড়ে দেওয়া হয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাহিদ হাসান খান প্রথম আলোকে বলেন, কর্তিমারী বাজারে চিতাবাঘের বাচ্চা ধরা পড়েছে শুনে বিষয়টি বনবিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়। পরে শনিবার তারা সেটিকে উদ্ধার করে সীমান্তে ছেড়ে দেয়। তবে সেটি চিতাবাঘের বাচ্ছা ছিল না। এটি একটি মেছো বিড়াল।