‘ছাত্রলীগের মঞ্চের মতো প্রধানমন্ত্রীর গদিও ধপাস করে ভেঙে পড়বে’

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ‘বিএনপির ১০ দফা ও রাষ্ট্র মেরামতের রূপরেখা ব্যাখ্যা ও বিশ্লেষণ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তব্য দিচ্ছেন কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাবিব উন নবী খান। শনিবার শহরের পুনিয়াউট এলাকায়
ছবি: প্রথম আলো

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের মঞ্চের মতো একদিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গদিও ধপাস করে ভেঙে পড়বে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাবিব উন নবী খান। আজ শনিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

শহরের পুনিয়াউট এলাকায় ‘বিএনপির আন্দোলনের ১০ দফা ও রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের রূপরেখা ব্যাখ্যা ও বিশ্লেষণ’ শীর্ষক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। ওই সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন হাবিব উন নবী খান।

আওয়ামী লীগের সমালোচনা করে বিএনপির এই নেতা বলেন, তারা এখন চামচামিতে লিপ্ত। ছাত্রলীগের ভারে তাদের মঞ্চ ভেঙে ধপাস করে পড়ে যায়। মঞ্চ থেকে পড়ে গেছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। এমনিভাবে একদিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গদিও ধপাস করে ভেঙে পড়বে।

হাবিব উন নবী খান বলেন, ‘বিএনপির জনাতঙ্কের ভয়ে পল্টনে সভা করতে দেয়নি আওয়ামী লীগ। অন্যায়ভাবে অসংখ্য নেতা-কর্মীকে আটকে রেখেছেন শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনাকে বলছি, যদি তাঁরা জেলে থাকেন, অনেক আগেই আপনার জেলে যাওয়া উচিত। তাঁরা নিরপরাধ, আপনি অপরাধী। সুতরাং অনতিবিলম্বে খালেদা জিয়াসহ সব নেতাদের মুক্তি দিন। আজকে যদি শেখ হাসিনাসহ তাঁর পরিবার নিয়ে ফেসবুকে কেউ কিছু লেখেন, তাঁর চৌদ্দগুষ্টিকে ধরে নিয়ে যাবে।’ এ সময় তিনি ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টের মতো কালাকানুন বাতিলের দাবি জানান।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরের পুনিয়াউট এলাকায় বিএনপির আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখছেন রুমিন ফারহানা

ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্য দেওয়ার সময় ছাত্রলীগের মঞ্চ ভেঙে পড়ার বিষয়টি ইঙ্গিত করে বিএনপির আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বলেন, ‘কালকে তো সবাই দেখেছেন, কীভাবে স্মার্ট বাংলাদেশ ধসে পড়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘নির্বাচনে আওয়ামী লীগের কারচুপি সেই ৭৩ সাল থেকে শুরু হয়ে ২০১৮ সাল পর্যন্ত চলেছে। আমরা পরিষ্কারভাবে বলেছি, রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রিপরিষদের যে ক্ষমতা, সেই জায়গায় একটা ভারসাম্য নিয়ে আসব। পরপর দুবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী বা রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব কেউ পালন করতে পারবেন না। এমন যুগান্তকারী ঘোষণা বিএনপি দিতে পারে।’

সভায় জেলা বিএনপির আহ্বায়ক জিল্লুর রহমানের সভাপতিত্বে প্রধান বক্তা ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহসাংগঠনিক সম্পাদক সাঈদুল হক, সদস্য রফিক শিকদার, জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি হাফিজুর রহমান মোল্লা, সাবেক সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হক, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম প্রমুখ।