ঝিনাইদহ বিদ্যুৎ কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলীর দপ্তরে সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে সময় সংবাদের ঝিনাইদহ প্রতিনিধি লোটাস রহমান লাঞ্ছিত হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওজোপাডিকোর নির্বাহী প্রকৌশলী রাশেদুল ইসলাম চৌধুরী ক্যামেরা ও মুঠোফোন কেড়ে নিয়ে ভাঙচুর করেছেন বলে অভিযোগ লোটাস রহমানের।
আজ সোমবার সকালে এ ঘটনা ঘটে। পরে তাৎক্ষণিক অন্য সাংবাদিকেরা নির্বাহী প্রকৌশলীর দপ্তরে এসে প্রতিবাদ জানান। পাশাপাশি ঘটনার বিচার চেয়ে দপ্তরের সামনে রাস্তার ওপর বসে অবস্থান নেন। সাংবাদিকেরা ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে দ্রুত বিচার দাবি করেন, পাশাপাশি দ্রুত সময়ের মধ্যে নির্বাহী প্রকৌশলীর অপসারণ দাবি করেন। পরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসেন।
সময় সংবাদের প্রতিনিধি লোটাস রহমান জানান, জেলার বিদ্যুৎ গ্রাহকদের বিভিন্ন সময় অতিরিক্ত বিল, অতিরিক্ত টাকা দাবি, নোটিশ ছাড়া সংযোগ বিচ্ছিন্ন ও অতিরিক্ত লোডশেডিংয়ের অভিযোগ রয়েছে ওজোপাডিকোর বিরুদ্ধে। এ ছাড়া সরকারি গাড়িগুলো ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহারের অভিযোগ রয়েছে। এমনকি নির্বাহী প্রকৌশলী সরকারি গাড়িতে তাঁর মেয়ের শিক্ষককে আনা–নেওয়ার কাজেও ব্যবহার করেন এমন অভিযোগ রয়েছে। এসব নিয়ে সংবাদ প্রকাশের প্রয়োজনে তিনি আজ সকালে নির্বাহী প্রকৌশলী রাশেদুল ইসলাম চৌধুরীর বক্তব্য নিতে যান।
লোটাস রহমান অভিযোগ করেন, সময় সংবাদের প্রতিনিধি দেখে নির্বাহী প্রকৌশলী রাশেদুল ইসলাম চৌধুরী ক্ষুব্ধ হন। একপর্যায়ে তিনি সময় সংবাদের ক্যামেরা, সাংবাদিকসহ চিত্রসাংবাদিকের মুঠোফোন কেড়ে নেন ও লাঞ্ছিত করেন। খবর পেয়ে ঝিনাইদহে কর্মরত সাংবাদিকেরা সেখানে গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করেন।
অভিযোগের বিষয়ে ওজোপাডিকোর নির্বাহী প্রকৌশলী রাশেদুল ইসলাম চৌধুরীর সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেও তাঁকে পাওয়া যায়নি। তাঁর মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ধরেননি।