বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলা কমিটি বাতিলের দাবিতে এক পক্ষের শিক্ষার্থীদের মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ। আজ রোববার বিকেলে সিরাজগঞ্জে যমুনা সেতু পশ্চিম গোলচত্বর এলাকায়
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলা কমিটি বাতিলের দাবিতে এক পক্ষের শিক্ষার্থীদের মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ। আজ রোববার বিকেলে সিরাজগঞ্জে যমুনা সেতু পশ্চিম গোলচত্বর এলাকায়

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কমিটি বাতিলের দাবিতে সিরাজগঞ্জে মহাসড়ক অবরোধ

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সিরাজগঞ্জ জেলার আহ্বায়ক কমিটি বাতিলের দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ হয়েছে। ‘জুলাই অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা’ আজ রোববার বিকেল সাড়ে পাঁচটা থেকে ঘণ্টাব্যাপী যমুনা সেতু পশ্চিম সংযোগ মহাসড়কের গোলচত্বর এলাকায় এই বিক্ষোভ করেন। এতে মহাসড়কের দুই প্রান্তে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

এর আগে জুলাই আন্দোলনে প্রকৃত ত্যাগীদের স্থান না দেওয়ার অভিযোগ তুলে কমিটি বাতিলের দাবিতে ছয় ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছিল জুলাই অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী ছাত্রসমাজ। আজ রোববার দুপুর ১২টার দিকে সিরাজগঞ্জ পৌর শহরের এসএস সড়কের একটি ভবনে সংবাদ সম্মেলন করে এই আলটিমেটাম দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে এই কমিটি তৈরির জন্য কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক মাহিন সরকারের পদত্যাগ দাবি করেন তাঁরা। এ সময় সেখানে উপস্থিত নবগঠিত আহ্বায়ক কমিটিতে স্থান পাওয়া প্রায় ৩০ জন শিক্ষার্থী স্বেচ্ছায় পদত্যাগের ঘোষণা দেন।

সংবাদ সম্মেলনে সিরাজগঞ্জ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক মুনতাসির হাসান লিখিত বক্তব্যে বলেন, ‘জুলাই বিপ্লবে সারা দেশের মতো সিরাজগঞ্জের ছাত্র–জনতাও বুকের রক্ত ঢেলে দিয়েছে। তবে দুঃখের সঙ্গে আমরা লক্ষ করছি একটি স্বার্থান্বেষী মহল জুলাই বিপ্লবের প্রকৃত নায়কদের মাইনাস করে, ৫ আগস্টের পর সুবিধাভোগী কিছু অনুপ্রবেশকারীর মাধ্যমে প্রহসনের কমিটি গঠন করেছে। আরও উদ্বেগের বিষয়, এ কমিটির নেতৃত্বে এমন অনেককে রাখা হয়েছে, যাঁরা সরাসরি ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। যে কারণে আমরা এই কমিটি বাতিলের দাবি জানাচ্ছি।’

শনিবার দিবাগত রাত ১০টার দিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ ও সদস্যসচিব আরিফ সোহেলের সই করা এক পত্রে আগামী ছয় মাসের জন্য ২৮৪ সদস্যবিশিষ্ট সিরাজগঞ্জ জেলা আহ্বায়ক কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়। এতে সজীব সরকারকে আহ্বায়ক, মেহেদী হাসানকে সদস্যসচিব, ইকবাল হোসেনকে মুখ্য সংগঠক ও টি এম মুশফিক সাদকে মুখপাত্র করা হয়। এর পর থেকে ওই কমিটি নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়।