জামালপুরে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের ৩৭ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার রাত থেকে আজ বুধবার দুপুর পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
৫ আগস্টের পর বিভিন্ন থানায় নাশকতা ও অস্ত্র আইনসহ বিভিন্ন ধারায় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। ওই সব মামলার আসামিদের ধরতে গতকাল রাত থেকে জেলার বিভিন্ন স্থানে পুলিশ অভিযান চালায়। ওই অভিযানে সদরসহ সাতটি উপজেলার আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের ৩৭ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর মধ্যে সদরে ২, সরিষাবাড়ীতে ৪, ইসলামপুরে ২, মাদারগঞ্জে ১২, মেলান্দহে ৩, দেওয়ানগঞ্জে ৭ ও বকশীগঞ্জ উপজেলায় ৭ জন। আজ দুপুরে তাঁদের আদালতে পাঠানো হয়েছে। জেলা পুলিশের সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন দেওয়ানগঞ্জ পৌর শাখা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দেওয়ান এরশাদ ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মহিবুল ইসলাম, জামালপুর পৌর শাখার ১১ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মুনসুর আলী, সাবেক সংসদ সদস্য মির্জা আজমের চাচাতো ভাই আওয়ামী লীগ কর্মী মির্জা আবদুল বাসেদ, মেলান্দহ উপজেলার চরবানিপাকুরিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ তারা আকন্দ, নয়ানগর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য মো. সরোয়ার জাহান ও উপজেলা ছাত্রলীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক মো. ফজলে রাব্বি, মাদারগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. সেলিম মিয়া ও আল আমিন, উপজেলা ছাত্রলীগের সমাজসেবা সম্পাদক মাহাবুবুর রহমান, সাবেক ধর্মমন্ত্রী ফরিদুল হক খানের শ্যালক ইসলামপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের কর্মী মো. আবদুল আলীম খান ও ইসলামপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মো. রকিব চৌধুরী।
এ বিষয়ে জামালপুরের পুলিশ সুপার সৈয়দ রফিকুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ৫ আগস্টের পর যেসব মামলা করা হয়েছিল, সেসব মামলার আসামিদের মধ্যে ৩৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।