সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারীদের সঙ্গে সংঘর্ষে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা, ইউপি চেয়ারম্যানসহ ছয়জন নিহত হয়েছেন। এ সময় উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় ও কয়েকটি মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেন আন্দোলনকারীরা। সংঘর্ষে আহত হয়েছেন দুই পক্ষের অর্ধশতাধিক ব্যক্তি।
সংঘর্ষে চারজনের মারা যাওয়ার বিষয়টি আজ বেলা সাড়ে তিনটার দিকে প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আমিমুল ইহসান তৌহিদ। তিনি বলেন, গুরুতর আহত অবস্থায় আওয়ামী লীগের ১৫-২০ জন নেতা-কর্মীকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় চারজন মারা গেছেন। মৃত ব্যক্তিদের মধ্যে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আল আমিন সরকারের মরদেহ পরিবারের লোকজন নিয়ে গেছেন। অন্য তিনজন হলেন উপজেলার ব্রহ্মগাছা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম ছরওয়ার, আলম ও প্রদীপ কুমার। সংঘর্ষে আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে বলে তিনি জানান।
রায়গঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ নাহিদ হাসান খান সন্ধ্যা ৬টার দিকে প্রথম আলোকে বলেন, উপজেলায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারীদের সাথে সংঘর্ষের ঘটনায় আওয়ামী লীগের আরও দুই নেতার মৃত্যু হয়েছে। তাঁরা হলেন উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মো. মেহেদী হাসান ওরফে ইলিয়াস এবং ব্রহ্মগাছা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম হাসনায়েন ওরফে টিটু।
এর আগে আজ রোববার বেলা ১১টার দিকে উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয় থেকে আন্দোলনবিরোধী মিছিল বের করা হয়। এর কিছুক্ষণ পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীরা মিছিল বের করেন। মিছিলে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার মানুষের অংশগ্রহণ দেখা যায়। একপর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে উপজেলার ধানগড়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায় আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের সামনে সংঘর্ষ শুরু হয়। আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা হামলায় টিকতে না পেরে বিভিন্ন দিকে চলে যান। এ সময় বিক্ষোভকারীরা কার্যালয়ে আগুন দেন। কার্যালয়ের সামনে থাকা কয়েকটি মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেন আন্দোলনকারীরা।