বরিশালে ‘মার্চ ফর জাস্টিস’ কর্মসূচিতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের লাঠিপেটা করে পুলিশ। আজ দুপুরে নগরের সদর রোড এলাকায়
বরিশালে ‘মার্চ ফর জাস্টিস’ কর্মসূচিতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের লাঠিপেটা করে পুলিশ। আজ দুপুরে নগরের সদর রোড এলাকায়

বরিশালে মার্চ ফর জাস্টিস কর্মসূচিতে পুলিশের বাধা, সাংবাদিকসহ আহত অন্তত ১০

কোটা সংস্কার আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়কদের মুক্তি, সারা দেশে শিক্ষার্থী হত্যা ও গণগ্রেপ্তারের শিকার শিক্ষার্থীদের মুক্তিসহ ৯ দফা বাস্তবায়নের দাবিতে বরিশালে ‘মার্চ ফর জাস্টিস’ কর্মসূচি পালনের চেষ্টা করলে আন্দোলনকারীদের লাঠিপেটা করে ছত্রভঙ্গ করে দিয়েছে পুলিশ। এতে ৪ সাংবাদিকসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। এ সময় কয়েকজন আন্দোলনকারীকে আটক করেছে পুলিশ।

আজ বুধবার দুপুরে নগরের সদর রোডের অশ্বিনীকুমার হল ও ফজলুল হক অ্যাভিনিউ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহত সাংবাদিকেরা হলেন দৈনিক যুগান্তরের ফটোসংবাদিক শামীম আহমেদ, যমুনা টিভির ফটোসাংবাদিক হৃদয় চন্দ্র শীল, এনটিভির ফটোসাংবাদিক গোবিন্দ সাহা, বার্তা টোয়েন্টিফোরের তুহিন খান। তাঁরা শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।

প্রত্যক্ষদর্শী ও কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া একাধিক ব্যক্তি জানান, বেলা ১১টার পর নগরের সদর রোডসংলগ্ন কাঠপট্টি সড়কের মুখে শিক্ষার্থীদের একটি অংশ প্রতিবাদ মিছিল করার চেষ্টা করলে পুলিশ প্রথমে বাধা দেয়। এ সময় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কয়েকজন অভিভাবককেও এ কর্মসূচিতে একাত্ম হতে দেখা যায়। একপর্যায়ে বাধার মুখে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তি হয়। পরে সিটি কলেজের গলির মুখে শিক্ষার্থীদের আটকে দেওয়া হয়। আরও শিক্ষার্থী এক জোট হয়ে সদর রোডে অবস্থান নিলে ধাওয়া দিয়ে তাঁদের ফকিরবাড়ির রোডে আটকে দেয় পুলিশ। এ সময় শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। একপর্যায়ে পুলিশ লাঠিপেটা শুরু করে।

ঘটনার সময় উপস্থিত কয়েকজন সাংবাদিক অভিযোগ করেন, পেশাগত দায়িত্বপালনের সময় তাঁদের লক্ষ্য করে লাঠিপেটা শুরু করে পুলিশ। এতে চার সাংবাদিকসহ ছয়জন আহত হন। এর প্রতিবাদে তাঁরা সদর রোড আটকে সড়কে বসে পড়েন। এতে সড়কটিতে কিছুক্ষণের জন্য যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

একপর্যায়ে বাধার মুখে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তি হয়। আজ দুপুরে নগরের ফকিরবাড়ী রোড এলাকায়

আন্দোলনকারীরা জানান, শিক্ষার্থীরা সদর রোড ত্যাগ করে ফজলুল হক অ্যাভিনিউয়ে বরিশাল জেলা জজ আদালতের সামনে অবস্থান নিলে তাঁদের ছত্রভঙ্গ করতে আবারও লাঠিপেটা শুরু করে পুলিশ। এ সময় অন্তত চারজন আহত হন। সেখান থেকে বেশ কয়েকজন আন্দোলনকারীকে আটক করা হয়।

এদিকে সাংবাদিক ও শিক্ষার্থীদের লাঠিপেটা করার বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন বরিশাল মহানগর পুলিশ কমিশনার মো. জিহাদুল কবির ও জেলা প্রশাসক শহিদুল ইসলাম।

নগরের ফজলুল হক অ্যাভিনিউ থেকে কয়েকজন আন্দোলনকারীকে আটক করে নিয়ে যায় পুলিশ। আজ দুপুরে

সাংবাদিকদের মারধর করার ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন বরিশাল মহানগর পুলিশের উপকমিশনার তানভীর আরাফাত। তিনি জানান, পুলিশ ভুল করে সাংবাদিকদের লাঠিপেটা করেছে।