আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে চলছে নির্বাচনী প্রচারণার তোড়জোড়। উপজেলার সম্ভাব্য সংসদ সদস্য পদপ্রার্থীদের সমর্থক নেতা-কর্মীরা ব্যানার-পোস্টার লাগানোর প্রতিযোগিতায় নেমেছেন। গতকাল শনিবার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সীতাকুণ্ডের বাঁশবাড়িয়া ও বাড়বকুণ্ড বাজার ঘুরে সবচেয়ে বেশি ব্যানার দেখা যায়। এদিকে গতকাল চারজন আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন বলে জানা গেছে।
এর মধ্যে সীতাকুণ্ডের বর্তমান সংসদ সদস্য দিদারুল আলম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল্লাহ আল বাকের ভূঁইয়া, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এস এম আল মামুনের সমর্থনে ব্যানার বেশি দেখা গেছে। এ ছাড়া দেখা গেছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর নিছার উদ্দিন আহমেদ ও মোহাম্মদ ইমরানের প্রচারণামূলক ব্যানারও।
বাঁশবাড়িয়া এলাকার বাসিন্দা শাহ আলম প্রথম আলোকে বলেন, বঙ্গবন্ধু টানেল উদ্বোধনের সময় এক–দুইটা ব্যানার ছিল। তফসিল ঘোষণার পরদিন থেকে এখানে অতিরিক্ত ব্যানার দেখা যাচ্ছে।
এদিকে গতকাল থেকে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন ফরম বিক্রি শুরু হয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সীতাকুণ্ডের সংসদীয় আসন থেকে মনোনয়ন ফরম বিক্রির প্রথম দিনে দলীয় মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল্লাহ আল বাকের ভূঁইয়া, বীর মুক্তিযোদ্ধা ফখরুদ্দিন, শিল্পপতি মোহাম্মদ ইমরান ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর নিছার উদ্দিন আহমেদ।
আজ রোববার বর্তমান সংসদ সদস্য দিদারুল আলম ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এস এম আল মামুন দলীয় মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করবেন বলে জানা গেছে।
বর্তমান সংসদ সদস্য দিদারুল আলমের বলেন, তিনি পরপর দুইবার সংসদ সদস্য ছিলেন। এবারও তার বিশ্বাস প্রধানমন্ত্রী তাঁর ওপর আস্থা রাখবেন। আজ তিনি মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করবেন বলে জানান।
সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এস এম আল মামুন বলেন, তাঁর বাবা এ বি এম আবুল কাশেম মাস্টার একাধিকবার সীতাকুণ্ডের সংসদ সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি উপজেলা চেয়ারম্যান পদে থাকায় মনোনয়ন পাননি। এবার উপজেলা চেয়ারম্যানের পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন। এবার দলীয় মনোনয়ন পাবেন বলে আশা করছেন তিনি।