আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফরউল্লাহকে তৃতীয়বারের মতো লাল কার্ড দেখিয়ে এলাকা থেকে বিদায় করতে চান ফরিদপুর-৪ আসনের সংসদ সদস্য মজিবুর রহমান চৌধুরী ওরফে নিক্সন। তিনি আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীক চাওয়ার ঘোষণা দিয়ে বলেছেন, না পেলে জনগণ যে প্রতীক দেবেন, সেই প্রতীকেই তিনি নির্বাচন করবেন।
গতকাল বুধবার বিকেলে ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলার গাজীরটেক ইউনিয়নের চর হাজিগঞ্জ উচ্চবিদ্যালয়ে এক জনসভায় এসব কথা বলেন নিক্সন চৌধুরী। ওই ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ইয়াকুব আলীর নিক্সন চৌধুরীর সঙ্গে যোগদান উপলক্ষে এ সভার আয়োজন করা হয়।
কাজী জাফরউল্লাহ ভাঙ্গা, সদরপুর ও চরভদ্রাসন নিয়ে গঠিত ফরিদপুর-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য। ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী নিক্সন চৌধুরীর কাছে পরাজিত হন। জাফরউল্লাহকে সে কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে নিক্সন চৌধুরী বলেন, ‘দুই দুইবার এই এলাকার লোক আপনারে লাল কার্ড দেখাইছে। আপনার লজ্জাশরম বলে কিছু নাই। ভবিষ্যতে তৃতীয়বারের জন্য হ্যাটট্রিক লাল কার্ড পাওয়ার জন্য আপনি আইছেন।’
কাজী জাফরউল্লাহকে ‘ক্ষমতাধর’ উল্লেখ করে যুবলীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য নিক্সন চৌধুরী বলেন, ‘আপনি অনেক ক্ষমতাবান লোক। এই ক্ষমতা দিয়া আপনি এলাকার কোনো উন্নয়ন করেন না। এ ক্ষমতা শুধু নির্বাচনের কাজে ব্যবহার করেন।’
সভায় নিক্সন চৌধুরী জনতার উদ্দেশে প্রশ্ন রাখেন, ‘আপনারা কি আমাকে ভালোবাসেন?’ তখন সমবেত জনতা সম্মতিসূচক উত্তর দিলে নিক্সন চৌধুরী বলেন, ‘এই ভালোবাসাই আমার কামাই। আগামী নির্বাচনের জন্য আপনারা প্রস্তুত থাকুন। আমি নৌকা চাব, নৌকা না দিলে আপনারা যে মার্কা দেবেন, সেই মার্কায় নির্বাচন করব। কাজী জাফরউল্লাহকে তিনবারের মতো হ্যাটট্রিক করাইয়া এই তিন থানা থেকে সারা জীবনের জন্য বহিষ্কার করে এলাকার উন্নয়ন করব।’ আগামী নির্বাচনে জয়ী হলে ভাঙ্গা, সদরপুর ও চরভদ্রাসনকে বাংলাদেশের মডেল উপজেলা হিসেবে গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি দেন নিক্সন চৌধুরী।
জনসভায় সভাপতিত্ব করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. খবিরউদ্দিন। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন ফরিদপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহাদৎ হোসেন, চরভদ্রাসন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কাউসার, গাজীরটেক ইউপির চেয়ারম্যান ইয়াকুব আলী, চরভদ্রাসন সদর ইউপির চেয়ারম্যান আজাদ খান, চর হরিরামপুর ইউপির চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবির, চর ঝাউকান্দা ইউপির চেয়ারম্যান বদরুজ্জামান মৃধা প্রমুখ।