পঞ্চগড়ে আহমদিয়া সম্প্রদায়ের ‘সালানা জলসা’ বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল চলাকালে আহমদিয়াদের ওপর হামলা ও সংঘর্ষে দুজন নিহত হওয়ার ঘটনায় ১৩টি মামলায় ১৬৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত গ্রেপ্তারের সংখ্যা দাঁড়ায় ১৬৫। এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের পক্ষ থেকে আরও মামলার প্রক্রিয়া চলছে।
এদিকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ব্যাপক অভিযান ও নজরদারিতে জেলা শহরের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে মানুষের চলাচল স্বাভাবিক দেখা গেছে।
গতকাল বুধবার বিকেল পর্যন্ত ১৩টি মামলায় মোট ১৩৫ জনকে গ্রেপ্তার করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এরপর বিকেলে ও রাতভর অভিযান চালিয়ে আরও ৩০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এতে মোট গ্রেপ্তারের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৬৫।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে মুঠোফোনে জেলা পুলিশ সুপার এস এম সিরাজুল হুদা প্রথম আলোকে বলেন, পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের নিয়ন্ত্রণে জেলার পরিবেশ বর্তমানে স্বাভাবিক আছে। অপরাধীদের ধরতে পুলিশ ও যৌথ বাহিনী কাজ করছে। তবে ভিডিও ফুটেজ দেখে, সুনির্দিষ্ট গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে এবং যাচাই-বাছাইয়ের মাধ্যমে আসামিদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। এ ঘটনায় কোনো নিরপরাধ সাধারণ মানুষকে হয়রানি করা হবে না।
পঞ্চগড় শহরের পাশে আহম্মদনগর এলাকায় আহমদিয়া জামাতের জলসা বন্ধের দাবিতে গত শুক্রবার জুমার নামাজের পর পঞ্চগড় শহরের বিভিন্ন মসজিদ থেকে মিছিল বের করা হয়। এতে পুলিশ বাধা দেয়। বিক্ষোভকারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুড়তে থাকেন। তখন দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। একদল বিক্ষোভকারী আহম্মদনগর এলাকায় গিয়ে আহমদিয়া সম্প্রদায়ের শতাধিক বাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর করেন। এ ঘটনায় দুই তরুণ নিহত হয়েছেন।