জামানত কমানোর দাবিতে নির্বাচন কমিশনকে আইনি নোটিশ পাঠালেন দুই চেয়ারম্যান

নির্বাচন কমিশন
নির্বাচন কমিশন

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান পদের জন্য জামানত বিধি সংশোধন চেয়ে নির্বাচন কমিশন (ইসি) বরাবর আজ সোমবার আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন হবিগঞ্জের দুই উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান। তাঁরা আইনজীবীর মাধ্যমে এ নোটিশ পাঠান। নোটিশে আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে জবাব চাওয়া হয়েছে।

আইনি নোটিশ সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি নির্বাচন কমিশন উপজেলা চেয়ারম্যান পদে ১০ হাজারের স্থলে এক লাখ ও ভাইস চেয়ারম্যান পদে পাঁচ হাজারের স্থলে ৭৫ হাজার টাকা জামানত নির্ধারণ করে দিয়েছে। জামানতের এ টাকার পরিমাণ আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনার দাবিতে এ আইনি নোটিশ পাঠানো হয় নির্বাচন কমিশনের কাছে। এ ছাড়া অনলাইনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পাশাপাশি সরাসরি জমা দেওয়ার সুযোগ যুক্ত করার জন্য বলা হয় এ নোটিশে।

নির্বাচন কমিশন উপজেলা চেয়ারম্যান পদে ১০ হাজারের স্থলে এক লাখ ও ভাইস চেয়ারম্যান পদে পাঁচ হাজারের স্থলে ৭৫ হাজার টাকা জামানত নির্ধারণ করে দিয়েছে।

আজ প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ সংশ্লিষ্ট ছয়জনের কাছে এ আইনি নোটিশ পাঠান হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ফজলুল হক চৌধুরী ও বাহুবল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সৈয়দ খলিলুর রহমান। তাঁদের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আবেদ রাজা ও ফয়জুর রহমান এ নোটিশ দেন।

নবীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলুল হক চৌধুরী সেলিম বলেন, ‘উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জামানত ফি আগের মতো রাখা ও অনলাইনের পাশাপাশি সরাসরি মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার বিধান যুক্ত করার জন্য আমরা লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছি। জবাব না পেলে বিষয়টি আইনিভাবে মোকাবিলা করব।’

বাহুবল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সৈয়দ খলিলুর রহমান বলেন, ‘সংসদ সদস্য পদে নির্বাচনের জন্য জামানতের পরিমাণ ২৫ হাজার টাকা। কিন্তু উপজেলা চেয়ারম্যান পদে এক লাখ টাকা জামানত, যা অযৌক্তিক। এভাবে নির্বাচন হতে পারে না।’

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আবেদ রাজা প্রথম আলোকে বলেন, ‘তিন কার্যদিবসের মধ্যে আমরা নির্বাচন কমিশনের কাছে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা চেয়েছি।’