ত্বকীসহ সব হত্যাকাণ্ডের বিচার চাইলেন রফিউর রাব্বি

ত্বকীর চিহ্নিত ঘাতকদের গ্রেপ্তার ও বিচার শুরুর দাবি জানিয়ে নারায়ণগঞ্জ সাংস্কৃতিক জোটের কর্মসূচিতে বিশিষ্টজনেরা। গতকাল সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জের আলী আহাম্মদ চুনকা নগর পাঠাগার ও মিলনায়তন প্রাঙ্গণে
ছবি: প্রথম আলো

মেধাবী ছাত্র তানভীর মুহাম্মদ ত্বকী, সাগর-রুনি, তনুসহ সারা দেশে সংঘটিত সব হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবি জানিয়েছেন ত্বকীর বাবা রফিউর রাব্বি। আজ শনিবার সন্ধ্যায় নগরের আলী আহাম্মদ চুনকা নগর মিলনায়তন প্রাঙ্গণে ত্বকী হত্যার ১২৪ মাস উপলক্ষে আলোক প্রজ্বালন কর্মসূচিতে তিনি এই দাবি জানান।

ত্বকী হত্যাকাণ্ডের পর থেকে প্রতি মাসের ৮ তারিখে ঘাতকদের বিচারের দাবিতে নারায়ণগঞ্জ সাংস্কৃতিক জোট ধারাবাহিক কর্মসূচি পালন করে আসছে। সংগঠনের সভাপতি ভবানী শংকর রায়ের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শাহীন মাহমুদের সঞ্চালনায় আলোক প্রজ্বালন অনুষ্ঠানে রফিউর রাব্বি ছাড়াও বক্তব্য দেন খেলাঘর কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি রথীন চক্রবর্তী, সন্ত্রাস নির্মূল ত্বকী মঞ্চের সদস্যসচিব হালিম আজাদ, দৈনিক খবরের পাতার সম্পাদক মাহাবুবুর রহমান, সাংস্কৃতিক জোটের সাবেক সভাপতি প্রদীপ ঘোষ, সিপিবি জেলা সাধারণ সম্পাদক শিবনাথ চক্রবর্তী, ন্যাপের জেলা সাধারণ সম্পাদক আওলাদ হোসেন, গণসংহতি আন্দোলনের জেলা সমন্বয়ক তরিকুল সুজন ও চারণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের জেলা সভাপতি প্রবীর সরকার।

রফিউর রাব্বি বলেন, গণমানুষের আস্থা হারিয়ে দুর্বৃত্ত আর পেশিশক্তির ওপর নির্ভরশীল হয়েছে সরকার। আর সে জন্যই ত্বকীর ঘাতকেরা আইনের আওতায় আসে না। প্রশাসন তাদের নিরাপত্তা দেয়। সরকার দুর্বৃত্ত রক্ষার রাজনীতিকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়েছে। একেও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বলে মানুষকে ধোঁকা দিয়ে চলেছে। তিনি ত্বকীসহ সাগর-রুনি, তনু ও নারায়ণগঞ্জের আশিক, চঞ্চল, মিঠু ও ভুলু হত্যার বিচারের দাবি করেন।

হালিম আজাদ অবিলম্বে ত্বকীর খুনিদের বিচার শুরুর নির্দেশ দিতে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানান।

২০১৩ সালের ৬ মার্চ নগরের শায়েস্তা খাঁ সড়কের বাসা থেকে বের হওয়ার পর নিখোঁজ হন তানভীর মুহাম্মদ ত্বকী। এর দুই দিন পর ৮ মার্চ শীতলক্ষ্যা নদীর কুমুদিনী খাল থেকে ত্বকীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ওই বছরের ১২ নভেম্বর আজমেরী ওসমানের সহযোগী সুলতান শওকত আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে জানান, আজমেরী ওসমানের নেতৃত্বে ত্বকীকে অপহরণের পর হত্যা করা হয়। ৫ মার্চ ২০১৪ তদন্তকারী সংস্থা র‍্যাব সংবাদ সম্মেলন করে জানায়, নারায়ণগঞ্জের ওসমান পরিবারের নির্দেশে তাদেরই টর্চার সেলে ১১ জন মিলে ত্বকীকে হত্যা করেছে। অচিরেই তাঁরা অভিযোগপত্র আদালতে পেশ করবেন। কিন্তু সে অভিযোগপত্র আজও আদালতে পেশ করা হয়নি। ত্বকী হত্যার পর থেকে বিচার শুরু ও চিহ্নিত আসামিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে প্রতি মাসের ৮ তারিখ আলোক প্রজ্বালন কর্মসূচি পালন করে আসছে নারায়ণগঞ্জ সাংস্কৃতিক জোট।