জামালপুর জেলা কারাগারে বিক্ষোভ ও সংঘর্ষের ঘটনায় আহত আরও একজন বন্দীর মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার দুপুরে জেলা কারাগারের জেলার আবু ফাতাহ তাঁর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
গত বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত বন্দীদের মধ্যে এই সংঘর্ষের ঘটনায় এ পর্যন্ত সাতজন নিহত হয়েছেন। সংঘর্ষে কারাগারের জেলার, কারারক্ষী, বন্দীসহ ১৯ জন আহত হয়েছেন। জেলারের কার্যালয়, হাসপাতাল ও আটটি ওয়ার্ডে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে।
আজ নিহত ব্যক্তির নাম মো.মাসুদ (৩০)। তাঁর বাড়ি জামালপুর শহরের বনপাড়া এলাকায়। তাঁর লাশ আজ সকালে জামালপুর জেনারেল হাসপাতাল থেকে মর্গে পাঠানো হয়েছে।
জেলা কারাগারের জেলার আবু ফাতাহ মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, বন্দীদের মধ্যে ওই সহিংসতায় আরও একজন অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে গতকাল রাতে তাঁকে হাসপাতালে পাঠানো হলে সেখানে তাঁর মৃত্যু হয়। তাঁর হাঁটুতে গুলির চিহ্ন আছে। এ নিয়ে এ ঘটনায় সাতজন নিহত হয়েছেন।
সংঘর্ষের ঘটনা নিয়ে জেলার আবু ফাতাহ বলেন, ‘বৃহস্পতিবার দুপুরে বন্দীরা দুই দলে বিভক্ত হয়ে উভয়ের মধ্যে মারামারি শুরু করেন। তাঁদের মধ্যে একটি দল আমাকে এবং আমার কারারক্ষীদের জিম্মি করে গেট খুলে দিতে চাপ দিতে থাকে। একপর্যায়ে অন্য কারারক্ষীরা আমাকে উদ্ধার করেন। পরে বন্দীরা পুরো কারাগারের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ভেতরে তাণ্ডব চালান। বিভিন্ন স্থানে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেন। এ সময় অনেকেই দেয়াল টপকে পালানোর চেষ্টা করেন। এ সময় কারারক্ষীরা ফাঁকা গুলি ছোড়েন। এতে অনেক বন্দী দেয়ালের ওপর থেকে পড়ে যান। কারাগারের এই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে সেনাবাহিনীসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা দ্রুত আসেন। তাঁরা পুরোপুরি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন।’