ঢাকার সাভারে হিজড়া ছদ্মবেশে মাদক ক্রয়-বিক্রয়ের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে দুজন রোহিঙ্গাকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-৪-এর একটি দল। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে ১০ হাজার ৩০০ ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে সাভারের নিউমার্কেট এলাকা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁদের বিরুদ্ধে সাভার মডেল থানায় মামলা করে থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
গ্রেপ্তার দুজন হলেন মো. রফিক (১৮)। তিনি কক্সবাজার জেলার টেকনাফ উপজেলার হায়াইক্যং ইউনিয়নের কুতুপালং শরণার্থীশিবিরের ৬৩ নম্বর ব্লকের ১৮ নম্বর ক্যাম্পের বাসিন্দা। তাঁর পরিচয়পত্র নম্বর-২৮৫৮০৪। অপরজনের নাম মামুনুর (২৩)। কক্সবাজারের উখিয়ার বালুখালি শরণার্থীশিবিরের এফ-১০ ব্লকের বাসিন্দা। তাঁর পরিচয়পত্র নম্বর-২০১৮১৬। রফিক নিজেকে কাজল হিজড়া ও মামুনুর নিজেকে পরিমনি হিজড়া হিসেবে পরিচয় দিতেন।
র্যাব-৪-এর কর্মকর্তারা জানান, আজ সকালে সাভারের নিউমার্কেট এলাকায় অভিযান চালায় র্যাব-৪-এর একটি দল। এ সময় ওই এলাকা থেকে হিজড়া পরিচয় দেওয়া দুজনকে আটক করা হয়। পরে তাঁদের কাছ থেকে পলিথিন ও স্কচটেপে মোড়ানো অবস্থায় ১০ হাজার ৩০০ ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।
এসব তথ্য নিশ্চিত করে র্যাব-৪, সিপিসি-২-এর কোম্পানি কমান্ডার রাকিব মাহমুদ খান বলেন, গ্রেপ্তার দুজনের বিরুদ্ধে সাভার মডেল থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তাঁরা দুজনই রোহিঙ্গা বলে জানিয়েছেন। তাঁরা দীর্ঘদিন ধরে তৃতীয় লিঙ্গের ছদ্মবেশ ধারণ করে পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে ইয়াবার চালান সংগ্রহ করে আসছিলেন। হিজড়াদের মতো ছদ্মবেশ ধারণ করে ও অঙ্গভঙ্গি করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নজর ফাঁকি দিয়ে ইয়াবার চালান ঢাকা-মহানগরসহ নিকটবর্তী বিভিন্ন এলাকার ডিলার ও খুচরা মাদক বিক্রেতাদের কাছে বিক্রি করে আসছিলেন তাঁরা।
সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দীপক চন্দ্র সাহা প্রথম আলোকে বলেন, ‘র্যাব আমাদের কাছে দুই মাদক কারবারিকে হস্তান্তর করেছে। তাদের বিরুদ্ধে র্যাব বাদী হয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করেছে। ওই মামলায় আটকদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।’