গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলায় জাকারিয়া আলম ওরফে সম্রাট (১৬) নামের এক কিশোরের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ শনিবার ভোর রাতে উপজেলার পশ্চিম বাটি গ্রামের একটি বাড়ির সেপটিক ট্যাংক থেকে ওই কিশোরের লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় ওই কিশোরের এক সহপাঠীকে (১৬) গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে সে তার বন্ধু জাকারিয়াকে হত্যার কথা স্বীকার করেছে।
নিহত জাকারিয়া আলম উপজেলার মুক্তিনগর ইউনিয়নের শ্যামপুর গ্রামের আফজল হোসেনের ছেলে। সে স্থানীয় কাজী আজহার আলী মডেল উচ্চবিদ্যালয় থেকে এবার এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছিল। আটক কিশোরও এবার এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছে।
এ ঘটনায় নিহত জাকারিয়ার মা মিনি বেগম আজ দুপুরে বাদী হয়ে সাঘাটা থানায় হত্যা মামলা করেছেন। মামলায় জাকারিয়ার বন্ধু ওই কিশোরকে প্রধান আসামি এবং দুই থেকে তিনজনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।
পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে আটক কিশোর জাকারিয়াকে হত্যার কথা শিকার করে।
গ্রেপ্তার কিশোরের স্বীকারোক্তির বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, জাকারিয়ার কাছ থেকে তার বন্ধু (গ্রেপ্তার আসামি) কয়েক দিন আগে একটি ক্যামেরা ভাড়া নেয়। এরপর জাকারিয়াকে না জানিয়ে সে ক্যামেরাটি অন্য এক ব্যক্তির কাছে বিক্রি করে। গত বুধবার রাতে জাকারিয়া তার ক্যামেরা ও ভাড়ার টাকা ফেরত চায়। পর দিন বৃহস্পতিবার রাতে গ্রেপ্তার কিশোর তার বাড়িতে ক্যামেরা ফেরত দেবে বলে জাকারিয়াকে ডেকে নেয়। একপর্যায়ে ওই কিশোর ও তার সহযোগীরা জাকারিয়াকে হত্যা করে। পরে বাড়ির সেপটিক ট্যাংকে জাকারিয়ার লাশ রেখে দেয়।
এদিকে জাকারিয়া বাড়িতে না ফেরায় তার স্বজনেরা সাঘাটা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। জিডির পর পুলিশ গতকাল শুক্রবার রাতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য জাকারিয়ার বন্ধু ওই কিশোরকে আটক করে থানায় নেয়। একপর্যায়ে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে ওই কিশোর জাকারিয়াকে হত্যার কথা শিকার করে। পরে তার দেওয়ার তথ্যমতে, পুলিশ তার বাড়ির পাশে সেপটিক ট্যাংক থেকে জাকারিয়ার লাশ উদ্ধার করে।
সাঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মমতাজুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় আটক কিশোরকে আসামি করে আজ দুপুরে হত্যা মামলা হয়েছে। ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এর সঙ্গে আরও কেউ জড়িত থাকলে তাদের গ্রেপ্তার করা হবে।