ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বেড়েছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে গাইবান্ধা সদর উপজেলার গিদারি ইউনিয়নের ডাঙ্গারঘাট এলাকায় ব্রহ্মপুত্রের তীরে
ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বেড়েছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে গাইবান্ধা সদর উপজেলার গিদারি ইউনিয়নের ডাঙ্গারঘাট এলাকায় ব্রহ্মপুত্রের তীরে

গাইবান্ধায় নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত, ব্রহ্মপুত্র ও ঘাঘটের পানি বিপৎসীমার ওপরে

অবিরাম বর্ষণ ও উজানের ঢলে গাইবান্ধার একটি বাদে সব নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় ব্রহ্মপুত্র ও ঘাঘট নদ এবং করতোয়া নদীর পানি বেড়েছে। একই সময়ে তিস্তার পানি কমেছে। তবে ব্রহ্মপুত্র ও ঘাঘটের পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

গাইবান্ধার পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে জানা যায়, গত ২৪ ঘণ্টায় ব্রহ্মপুত্র নদের পানি ফুলছড়ি উপজেলার তিস্তামুখঘাট পয়েন্টে ৬০ সেন্টিমিটার, ঘাঘট নদের পানি জেলা শহরের নতুন ব্রিজ পয়েন্টে ৫৬ সেন্টিমিটার এবং করতোয়ার পানি গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার চকরহিমাপুর পয়েন্টে ৭৬ সেন্টিমিটার বেড়েছে। একই সময়ে তিস্তার পানি সুন্দরগঞ্জ উপজেলা-সংলগ্ন কাউনিয়া পয়েন্টে ১১ সেন্টিমিটার কমেছে।

আজ দুপুর ১২টায় ব্রহ্মপুত্রের পানি বিপৎসীমার ৬৮ সেন্টিমিটার এবং ঘাঘটের পানি বিপৎসীমার ১৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। একই সময়ে করতোয়ার পানি ১৬২ সেন্টিমিটার ও তিস্তার পানি বিপৎসীমার ৩৯ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়। গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ৩৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।

গাইবান্ধার পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী হাফিজুল হক বলেন, উজানের ঢলে ও ভারী বৃষ্টির কারণে নদ-নদীর পানি ক্রমেই বাড়ছে। পানি বাড়লেও আপাতত বড় বন্যার আশঙ্কা নেই।

নদ-নদীর পানি বাড়ায় গাইবান্ধা সদর উপজেলার কামারজানি, মোল্লারচর, গিদারি, ফুলছড়ি উপজেলার কঞ্চিপাড়া, এরেন্ডাবাড়ি, ফজলুপুর ও সুন্দরগঞ্জ উপজেলার কাপাসিয়া তারাপুর, হরিপুর এবং সাঘাটা উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলে প্লাবিত হয়েছে।