নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিলে পুলিশ লাঠিপেটা করেছে। এতে দলটির ১৫ নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। আজ বুধবার বিকেলে নগরের মণ্ডলপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ সময় পুলিশের লাঠিপেটায় বিএনপির নেতা-কর্মীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যান।
বিএনপির নেতা-কর্মীরা জানান, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ও জ্বালানি তেলের মূল্যের ঊর্ধ্বগতিসহ বিভিন্ন দাবিতে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ বেলা তিনটার দিকে নগরের মণ্ডলপাড়া এলাকায় ১৫ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপি সমাবেশের আয়োজন করে। ১৫ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মো. মাসুদের সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন মহানগর বিএনপির জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি সাখাওয়াত হোসেন।
এ সময় পুলিশ এসে বিএনপির নেতা-কর্মীদের ঘিরে রাখে এবং কর্মসূচি পালনে বাধা দেয়। পুলিশের বাধা পেয়ে বিএনপির নেতা-কর্মীরা সড়কের ফুটপাতে বসে পড়েন। কর্মসূচিতে অংশ নিতে বিভিন্ন স্থান থেকে বিএনপির নেতা-কর্মীরা খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে সমাবেশস্থলে যোগ দিতে আসার পথে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনিসুর রহমানের নেতৃত্বে পুলিশ তাঁদের লাঠিপেটা করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
ওসি আনিসুর রহমান বিষয়টি স্বীকার করে প্রথম আলোকে বলেন, বিএনপির নেতা-কর্মীরা সড়কে অবস্থান নিয়ে উচ্ছৃঙ্খল আচরণ করলে তাঁদেরকে মৃদু লাঠিপেটা করে ছত্রভঙ্গ করে দেওয়া হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি সাখাওয়াত হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করতে দেয়নি পুলিশ। পুলিশ অতর্কিত বিএনপির নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা চালিয়েছে। পুলিশের লাঠিপেটায় আমাদের মহানগর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সাগর প্রধান, সাবেক দপ্তর সম্পাদক শওকত খন্দকার, যুবদল নেতা মাজহারুল ইসলাম, আমির হোসেন, বিল্লাল হোসেন, ইব্রাহিম আহমেদ বাবু, রাসেলসহ ১৫ নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন।’
সাখাওয়াত হোসেন বলেন, তাঁদের পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচির বিষয়টি পুলিশ সুপারকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছিল। এরপরও সেই কর্মসূচি পালন করতে দেয়নি। অথচ শহরে ১৫ আগস্টের শোক দিবসের ব্যানারে এক শ্রমিকনেতা ট্রাক নিয়ে মিছিল করেন। তাঁদেরকে বাধা দেওয়া হয়নি।
এ বিষয়ে জানতে জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) গোলাম মোস্তফা রাসেলের মুঠোফোনে ফোন করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।