সিলেটে বন্যা পরিস্থিতির আরও উন্নতি হয়েছে। জেলায় কুশিয়ারা নদীর পানি ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে বিপৎসীমার কিছুটা ওপরে অবস্থান করলেও আর সব কটি নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার নিচে অবস্থান করছে।
জেলার আশ্রয়কেন্দ্রগুলো থেকে অধিকাংশ লোকজন নিজেদের ঘরবাড়িতে ফিরে গেছেন। গতকাল শুক্রবারের সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী, জেলার ৫৫১টি আশ্রয়কেন্দ্রে ৪৪০ জন অবস্থান করছিলেন।
সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাশ প্রথম আলোকে বলেন, হাওর ও জলাশয় পরিপূর্ণ থাকায় নদ–নদীর পানি ধীরগতিতে কমছে। তবে পানি কমার বিষয়টিই ভালো খবর। নতুন করে পানি বৃদ্ধি না পাওয়ায় পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে।
সিলেট আবহাওয়া অধিদপ্তর বলেছে, গতকাল সকাল ছয়টা থেকে আজ শনিবার সকাল ছয়টার মধ্যে সিলেটে কোনো বৃষ্টি হয়নি। অধিদপ্তরের সহকারী আবহাওয়াবিদ শাহ মো. সজীব হোসাইন বলেন, সিলেটে আজ ও আগামীকাল রোববার মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে।
পাউবো সূত্রে জানা গেছে, সিলেটের সুরমা নদীর কানাইঘাট পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ৪৮ সেন্টিমিটার নিচে অবস্থান করছে। এ ছাড়া গতকাল সন্ধ্যা ছয়টার তুলনায় আজ দুপুর ১২টায় পানি ২৬ সেন্টিমিটার কমেছে। নদীর সিলেট পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ৭৬ সেন্টিমিটার নিচে অবস্থান করছে, গতকালের তুলনায় আজ দুপুর ১২টায় পানি ১৯ সেন্টিমিটার কমেছে। তবে কুশিয়ারা নদীর ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ওপরে অবস্থান করছে। নদীর ওই পয়েন্টে বিপৎসীমা ৯ দশমিক ৪৫ সেন্টিমিটার। গতকাল সন্ধ্যায় ওই পয়েন্টে পানি ৯ দশমিক ৯৬ সেন্টিমিটারে অবস্থান করছিল। আজ দুপুর ১২টায় নদীর ওই পয়েন্টে পানি ৯ দশমিক ৯৫ সেন্টিমিটারে অবস্থান করছিল। এ ছাড়া সিলেটের ধলাই, লোভা, সারি নদ–নদীর পানিও কমছে বলে জানিয়েছে পাউবো।
এদিকে সিলেট সিটি করপোরেশন এলাকার বিভিন্ন পাড়া–মহল্লার জলাবদ্ধতা কমেছে। খাল-বিলের পানি নেমে গেছে। পানি নেমে যাওয়ার পর সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ পরিচ্ছন্নতা অভিযান চালাচ্ছে।
সিলেটের জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসান বলেন, বন্যার পানি কমায় আশ্রয়কেন্দ্র থেকে মানুষজন বাড়িতে ফিরেছেন। বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় গতকাল থেকে পর্যটনকেন্দ্রগুলোও খুলে দেওয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বন্যাকবলিত ব্যক্তিদের ত্রাণসহায়তা দেওয়া অব্যাহত আছে।