স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, দলীয় মনোনয়ন না থাকায় এবারের উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থীদের জনপ্রিয়তা যাচাইয়ের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। যাঁরা কাজের মাধ্যমে জনগণের মন জয় করতে পেরেছেন, অন্যায়-অত্যাচারের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন, তাঁরা উপজেলা নির্বাচনে নিজেদের গ্রহণযোগ্যতা পরীক্ষা করে দেখতে পারেন। যে কেউ নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারেন।
শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মন্ত্রী কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ উপজেলার পোমগাঁও গ্রামে অবস্থিত নিজ বাড়িতে উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা ও জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে এক ঈদ পুনর্মিলনীর আয়োজন করেন। সেখানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
স্থানীয় সরকারমন্ত্রী উপজেলা নির্বাচনে সংসদ সদস্য হিসেবে নিরপেক্ষ থাকার ঘোষণা দিয়ে তাজুল ইসলাম বলেন, আওয়ামী ও সহযোগী সংগঠনের যে কেউ চাইলে প্রার্থী হতে পারেন। তবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ কোথাও একে অন্যের বিরুদ্ধে বিষোদ্গার করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
মন্ত্রী এ সময় মানবসম্পদ উন্নয়নের ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, মানুষের সক্ষমতা ও রুচি উন্নত হলে দেশের উন্নয়ন ত্বরান্বিত হয়। যোগ্যরাই টিকে থাকেন, তাই মানবসম্পদ উন্নয়ন অপরিহার্য। সামাজিক সুবিচার নিশ্চিত করলে মানুষ শান্তিতে থাকতে পারেন।
ঈদ পুনর্মিলনী সভায় আরও বক্তব্য দেন মন্ত্রীর একান্ত সচিব মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল কাইয়ুম চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান জাকির হোসেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি তাজুল ইসলাম চৌধুরী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. আবুল কালাম আজাদ, উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক দেওয়ান জসিম উদ্দিন, হাসনাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ কামাল হোসেন, লক্ষ্মণপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক সেলিম কাদের চৌধুরী, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি কামরুজ্জামান শামীম, সাধারণ সম্পাদক আমজাদ হোসেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের নবনির্বাচিত মেয়র তাহসীন বাহারসহ বিভিন্ন ওয়ার্ডের কাউন্সিলররা। অনুষ্ঠান শেষে তাঁরা মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলামের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। এ সময় মনোহরগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মো. আমিরুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতা মো. কামাল হোসেন, যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মো. শাহাদাত হোসেনসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।