তফসিল ঘোষণার পর সারা দেশে আওয়ামী লীগের আনন্দমিছিল, প্রত্যাখ্যান করলেন বিরোধীরা

তফসিল ঘোষণার পর রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের আনন্দমিছিল। বুধবার সন্ধ্যায় নগরের সাহেব বাজারে
ছবি: প্রথম আলো

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরপরই দেশের বিভিন্ন এলাকায় আনন্দমিছিল ও মিষ্টি বিতরণ করেছেন আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। বুধবার সন্ধ্যায় নির্বাচন কমিশন (ইসি) তফসিল ঘোষণা করলে ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মীরা আনন্দমিছিল বের করেন। তবে কয়েকটি এলাকায় তফসিল প্রত্যাখ্যান করে প্রতিবাদ মিছিল করেছেন বিএনপিসহ বিরোধী দলের নেতা-কর্মীরা।

সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করেন। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ করা হবে আগামী ৭ জানুয়ারি। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ৩০ নভেম্বর। মনোনয়নপত্র বাছাই হবে ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১৭ ডিসেম্বর। আর প্রতীক বরাদ্দ ১৮ ডিসেম্বর।

তফসিল ঘোষণার পর নির্বাচন কমিশনকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়ে খুলনার কয়রায় আনন্দমিছিল করেছে আওয়ামী লীগ। সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি এস এম শফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে উপজেলা সদরে আনন্দমিছিল শেষে দলীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করেন নেতা-কর্মীরা।

নারায়ণগঞ্জ শহরের ২ নম্বর রেলগেট এলাকায় জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যালয় থেকে আনন্দমিছিল করেন দলটির নেতা-কর্মীরা। মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে দলীয় কার্যালয়ের সামনে গিয়ে মিছিল শেষ হয়।  এ ছাড়া সন্ধ্যায় মহানগর যুবলীগ ও ছাত্রলীগ তফসিলকে স্বাগত জানিয়ে পৃথক আনন্দমিছিল বের করে।

সিলেটে আনন্দ মিছিল করেন আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার পর খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে বিভিন্ন অঙ্গ–সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা নগরের রেজিস্টারি মাঠে জড়ো হন। পরে সম্মিলিতভাবে নগরে একটি মিছিল বের করা হয়। এ ছাড়া ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, যুবলীগ, মহিলা লীগ, শ্রমিক লীগ পৃথকভাবে নগরে মিছিল করেছে। এ সময় ‘নৌকা নৌকা’ স্লোগানে চারপাশ মুখর হয়ে ওঠে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আনন্দমিছিল করেছে জেলা আওয়ামী লীগ। জেলা শহরের বঙ্গবন্ধু স্কয়ারের জাতীয় বীর আবদুল কুদ্দুস মাখন পৌর মুক্তমঞ্চ থেকে মিছিল নিয়ে টি এ রোড, কালীবাড়ি মোড়, জেলা পরিষদ মার্কেট ঘুরে একই পথে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশ করে। মিছিলে যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, ছাত্রলীগ ও মহিলা আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরাও যোগ দেন।

তফসিলকে স্বাগত জানিয়ে বরিশালে আওয়ামী লীগের আনন্দমিছিল। বুধবার সন্ধ্যায়

তফসিলকে স্বাগত জানিয়ে সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ ও তাড়াশে মিছিল ও সমাবেশ করেছে আওয়ামী লীগ। সিইসির ভাষণ শেষ হওয়ার পর সন্ধ্যায় রায়গঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় থেকে মিছিল নিয়ে ধানগড়া পুরাতন চৌরাস্তা মোড়ে গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। এ ছাড়া তাড়াশ উপজেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

ঢাকার কেরানীগঞ্জের জিনজিরা এলাকায় মিছিল করেছেন দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও জিনজিরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাকুর হোসেনের নেতৃত্বে দলীয় কার্যালয় থেকে মিছিল নিয়ে জিনজিরা বাস রোড ও কদমতলী এলাকা প্রদক্ষিণ করা হয়।

তফসিল ঘোষণার খবরে দিনাজপুরের বিরামপুরে আনন্দমিছিল ও মিষ্টি বিতরণ করেছে আওয়ামী লীগ। জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি রুহুল আমিনের নেতৃত্বে শহরের ঢাকা মোড়ের বঙ্গবন্ধু ম্যুরাল চত্বর থেকে মিছিলটি পৌর শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এতে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা ‘শেখ হাসিনা সরকার বারবার দরকার, উন্নয়নের সরকার বারবার দরকার’সহ নানা স্লোগান দেন। মিছিল শেষে নেতা-কর্মীদের মধ্যে মিষ্টি বিতরণ করা হয়।

মৌলভীবাজার শহরের চৌমোহনা এলাকা থেকে আনন্দমিছিল করেছে আওয়ামী লীগ। চৌমোহনা চত্বরসহ বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে মিছিলটি। এতে নেতৃত্ব দেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সংসদ সদস্য নেছার আহমদ, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মিছবাহুর রহমানসহ নেতারা। মিছিলে সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরাও অংশ নেন। মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নেছার আহমদ।

তফসিল ঘোষণার পরপরই রংপুরে আনন্দমিছিল বের করে জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ। নগরের টাউন হলের সামনে থেকে তোলা

তফসিলকে স্বাগত জানিয়ে মানিকগঞ্জে আনন্দমিছিল ও সমাবেশ করেছেন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। সিইসির ভাষণ শেষ হওয়ার পরপর দলীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে আনন্দমিছিল বের করেন নেতা-কর্মীরা। মিছিলটি শহীদ রফিক সড়ক প্রদক্ষিণ করে মানিকগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম মহীউদ্দীনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আবদুস সালামের সঞ্চালনায় সমাবেশে জেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা বক্তব্য দেন। বক্তারা উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে আওয়ামী লীগ সরকারকে আবার ক্ষমতায় আনার দাবি জানান।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় তফসিল ঘোষণার পর উপজেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আনন্দমিছিল বের করা হয়েছে। কসবা সুপার মার্কেট চত্বর থেকে বের হয়ে পৌর শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে একই জায়গায় এসে শেষ হয়। এর আগে বিভিন্ন এলাকা থেকে নেতা-কর্মীরা সুপার মার্কেট চত্বরে জড়ো হন। মিছিলে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতা-কর্মীরা অংশ নেন।

বগুড়ার শেরপুরে ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কে আতশবাজি ফুটিয়ে তফসিলকে স্বাগত জানিয়েছে যুবলীগ। একই সময় উপজেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে শহরের বাসস্ট্যান্ড এলাকায় পৃথক আনন্দমিছিল করা হয়েছে। উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সুলতান মাহমুদের নেতৃত্বে এ মিছিল বের করা হয়।

তফসিলকে স্বাগত জানিয়ে কক্সবাজারে আনন্দমিছিল করেছেন আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। সন্ধ্যায় কক্সবাজার শহরের প্রধান সড়কে মিছিল করেন আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। এ সময় আওয়ামী লীগের পক্ষে বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দেওয়া হয়। এ ছাড়া চকরিয়া, রামু, ঈদগাঁও, টেকনাফে আনন্দমিছিল করেছেন নেতা-কর্মীরা।

ময়মনসিংহ নগরের প্রধান প্রধান সড়কে আনন্দমিছিল করেছে জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ। নগরের টাউন হল মোড় থেকে জেলা আওয়ামী লীগ এবং শিববাড়ি সড়কের দলীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে মহানগর আওয়ামী লীগ মিছিল বের করে। এ সময় ঢাকঢোল পিটিয়ে তফসিলকে স্বাগত জানানো হয়।

ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের সামনে থেকে আনন্দমিছিল বের করে আওয়ামী লীগ। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামীম হকের নেতৃত্বে মিছিলটি দলীয় কার্যালয় থেকে শুরু হয়ে মুজিব সড়ক ধরে ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সামনে গিয়ে শেষ হয়।

তফসিলকে স্বাগত জানিয়ে খুলনায় আনন্দমিছিল করেছে জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ। সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে লোয়ার যশোর রোডের দলীয় কার্যালয় থেকে পৃথক মিছিল নিয়ে নগরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে আবার দলীয় কার্যালয়ে গিয়ে শেষ হয়। এতে মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সিটি মেয়র তালুকদার আবদুল খালেকসহ নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

তফসিলকে স্বাগত জানিয়ে যশোরে আওয়ামী লীগের আনন্দমিছিল। বুধবার সন্ধ্যায়

সুনামগঞ্জে তফসিলকে স্বাগত জানিয়ে জেলা আওয়ামী লীগের দুই পক্ষ পৃথক আনন্দমিছিল করেছে। জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নোমান বখতের নেতৃত্বে শহরের উকিলপাড়া থেকে একটি মিছিল করা হয়। শহরের বিভিন্ন সড়ক ঘুরে তাঁরা পৌর ভবন চত্বরে সমাবেশে মিলিত হন। অন্যদিকে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নূরুল হুদার (মুকুট) ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত নেতা-কর্মীরা শহরে পৃথক আরেকটি মিছিল করেন।

রাজবাড়ীতে আনন্দমিছিল করেছেন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। তফসিল ঘোষণার পরপরই দলীয় কার্যালয় থেকে তাঁরা আনন্দমিছিল বের করেন। এতে জেলার আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা অংশ নেন। রাত সাড়ে আটটার দিকে জাকের পার্টির মনোনয়নপ্রত্যাশী আবদুল মান্নান মুসল্লির নেতৃত্বে আরেকটি আনন্দমিছিল বের করা হয়। এ ছাড়া কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ ও মহানগর যুবলীগের উদ্যোগে নগরের কান্দিরপাড় এলাকায় আনন্দমিছিল বের করা হয়।

তফসিলের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল

তফসিল প্রত্যাখ্যান করে যশোর শহরে বিএনপির মশাল মিছিল। আজ রাত আটটার দিকে

তফসিল প্রত্যাখ্যান করে দেশের বিভিন্ন জেলায় বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ মিছিল করেছে বিএনপিসহ বাম গণতান্ত্রিক জোট। সন্ধ্যার পরপরই কক্সবাজারে জেলা বিএনপির সভাপতি শাহজাহান চৌধুরীর নেতৃত্ব দলীয় কার্যালয় থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন নেতা-কর্মীরা। মিছিলটি প্রধান সড়কে গিয়ে প্রতিবাদ সমাবেশে মিলিত হয়। সমাবেশে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শামীম আরা ওরফে স্বপ্নাসহ নেতারা তাঁদের বক্তব্যে সিইসি ঘোষিত নির্বাচনের তফসিল প্রত্যাখ্যান করেন।

তফসিল বাতিলের দাবিতে জয়পুরহাটে ঝটিকা মিছিল করেছে জেলা বিএনপির একাংশ। বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ফয়সাল আলিমের নেতৃত্বে শহরের পূর্ব বাজারে এই ঝটিকা মিছিল করা হয়। মিছিলটি পূর্ব বাজারের একটি গলি প্রদক্ষিণ করে।

ময়মনসিংহে তফসিল প্রত্যাখ্যান করে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বাম গণতান্ত্রিক জোট। তফসিল ঘোষণার পরপরই নগরের গাঙ্গিনারপাড় এলাকা থেকে মিছিল নিয়ে প্রেসক্লাবের সামনের সড়কে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন বাম জোটের নেতারা। কাল বৃহস্পতিবার সকাল ছয়টা থেকে বেলা দুইটা পর্যন্ত আধাবেলা হরতালের ডাক দিয়েছে দলটি।

তফসিল ঘোষণার পর ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের দক্ষিণ সুরমা উপজেলার তেলিবাজার এলাকায় সন্ধ্যা ৭টা ৫০ মিনিটে বিএনপির কিছু নেতা-কর্মী অবস্থান নিয়ে সড়ক অবরোধ করেন। তবে ১০ মিনিট পর তাঁরা স্থান ত্যাগ করেন। এ ছাড়া দক্ষিণ সুরমার কদমতলীসহ শহরতলির কিছু এলাকায় বিক্ষোভ মিছিলের চেষ্টা করেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা। সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল কাইয়ুম চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, বর্তমান সরকারের অধীনে বিএনপি পাতানো নির্বাচনে অংশ নেবে না। বিএনপি প্রহসনের নির্বাচন প্রতিহত করবে।

তফসিল ঘোষণার প্রতিবাদে নোয়াখালীতে সড়কে পেট্রল ঢেলে অগ্নিসংযোগ করে বিএনপির কর্মীরা। বুধবার রাতে শহরের রশিদ কলোনি এলাকায়

ফরিদপুরে তফসিল প্রত্যাখ্যান করে সমাবেশ করেছে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)। রাত আটটার দিকে ফরিদপুর স্টেশন বাজারে আয়োজিত সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন সিপিবির কেন্দ্রীয় নেতা রফিকুজ্জামান। এতে জেলা সিপিবির সাধারণ সম্পাদক অরুণ কুমার শীল, জেলা যুব ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক এমদাদ মিয়া, রিকশা ভ্যান ইজিবাইক শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন বক্তব্য দেন।

রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার রাজবাড়ী-বালিয়াকান্দি সড়কের হুলাইল সেতু এলাকায় মশালমিছিল করে তফসিল প্রত্যাখ্যান করেছেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা। এ সময় ‘অবৈধ তফসিল মানি না মানব না, কালকের অবরোধ সফল হোক সার্থক হোক’ প্রভৃতি স্লোগান দিতে শোনা যায়।

তফসিল ঘোষণার প্রতিবাদে ও নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ছাত্রদল। রাত আটটার দিকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অ্যান্ড কলেজের সামনে থেকে মিছিল নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশমাইল এলাকার পরিবহন কার্যালয়ের সামনে গিয়ে শেষ হয়।

[প্রতিবেদন তৈরিতে তথ্য দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট এলাকার নিজস্ব প্রতিবেদকপ্রতিনিধিরা]