বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশের জলসীমায় অনুপ্রবেশ করে অবৈধভাবে মাছ শিকারের সময় আটক ৩১ ভারতীয় জেলে মুক্তি পেয়েছেন। এক মাস ছয় দিন কারাভোগের পর আদালতের মাধ্যমে আজ শনিবার তাঁরা জেল থেকে ছাড়া পান। ওই জেলেদের বাড়ি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলায়।
জেলেদের কারামুক্তির সময় বাগেরহাট জেলা কারাগারের জেল সুপার এস এম কামরুল হুদা, জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রাকিবুল হাসান, ভারতীয় হাইকমিশনারের প্রতিনিধি প্রভাত মুন্দা উপস্থিত ছিলেন। পরে মুক্তি পাওয়া ভারতীয় ৩১ জেলেকে পুলিশ প্রহরায় সড়কপথে বাগেরহাটের মোংলায় নেওয়া হয়। আজ দুপুরে মোংলা ফেরিঘাট থেকে দুটি ট্রলারে করে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার উদ্দেশে রওনা দেন তাঁরা।
কারামুক্ত জেলে চব্বিশ পরগনার কাগদ্বীপ থানার বাসিন্দা অশোক বর্মা (৪৫) বলেন, ‘মাছ ধরতে ধরতে বাংলাদেশে এসে ধরা পড়েছি। জেলের মধ্যে নিরাপদেই ছিলাম। পরিবারের কারও সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারিনি। তারা কেমন আছে জানি না। এখন বাড়ি ফিরত পারলে সবার খবর জানব।’
পুলিশ জানিয়েছে, এই জেলেরা গত ৩১ আগস্ট দুটি ট্রলারে করে সাগরের বাংলাদেশের অংশে ঢুকে মাছ ধরার সময় কোস্টগার্ডের হাতে আটক হন। এরপর ১ সেপ্টেম্বর তাঁদের মামলা দিয়ে মোংলা থানায় হস্তান্তর করে কোস্টগার্ড। ২ সেপ্টেম্বর থেকে তাঁরা বাগেরহাট জেলা কারাগারে ছিলেন।
মোংলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম বলেন, মুক্তি পাওয়া জেলেরা তাঁদের দুটি ট্রলার নিয়ে ভারতে রওনা হয়েছেন। তাঁদের বাড়ি দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার কাকদ্বীপসহ বিভিন্ন এলাকায়।
এর আগে ৪ অক্টোবর বাগেরহাট কারাগার থেকে ১৩৫ ভারতীয় জেলে মুক্তি পান। গত ২৯ ও ৩০ জুন বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশের অংশে ঢুকে মাছ ধরার সময় নৌবাহিনীর জাহাজ তাঁদের আটক করে। সমুদ্রসীমা লঙ্ঘন করে অবৈধ অনুপ্রবেশ ও মাছ শিকারের দায়ে আদালত তাঁদের কারাগারে পাঠান। এ নিয়ে গত এক সপ্তাহে আটক ১৬৬ ভারতীয় জেলে দেশে ফিরলেন।