সাতক্ষীরার তালা উপজেলার ইসলামকাটি ইউনিয়নের চতুর্থ শ্রেণির এক ছাত্রী নিজের বুদ্ধিতে বাল্যবিবাহ থেকে রক্ষা পেয়েছে। আজ শুক্রবার রাতে ওই ছাত্রীর বিয়ে হওয়ার কথা ছিল।
এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে সে উপজেলা প্রশাসনের কাছে খবর পাঠায়। এরপর আজ সকালে মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তরের কিশোর-কিশোরী ক্লাবের আবৃত্তিশিক্ষক ওই বাড়িতে যান। একপর্যায়ে ওই শিক্ষকের সঙ্গে ওই ছাত্রী বাড়ি থেকে বের হয়ে আসে।
উপজেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, ওই ছাত্রী বৃহস্পতিবার রাতে তাদের কাছে গোপনে খবর পাঠায় যে তার বাবা বিয়ে ঠিক করেছেন। আজ রাতে তার বিয়ে হতে যাচ্ছে। এরপর আজ সকাল সাড়ে আটটার দিকে ইসলামকাটি ইউনিয়নের কিশোর-কিশোরী ক্লাবের আবৃত্তিশিক্ষক শেফালি দাসকে ওই বাড়িতে পাঠানো হয়। তিনি ওই বাড়িতে গিয়ে ঘটনার সত্যতা পান।
এদিকে শেফালির উপস্থিতি টের পেয়ে ছাত্রীর বাবা গা ঢাকা দেন। একপর্যায়ে ওই ছাত্রী শেফালি দাসের সঙ্গে বাড়ি ছেড়ে চলে আসে। পরে ইসলামকাটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গোলাম ফারুক ওই ছাত্রীর বাড়িতে গিয়ে ঘটনার সত্যতা পান।
এরপর বিষয়টি তালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও তালা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে জানানো হয়।
তালা উপজেলা মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তা নাজমুন নাহার প্রথম আলোকে বলেন, ইউএনও আরাফাত হোসেন ওই ছাত্রীকে আপাতত তাঁদের হেফাজতে রাখতে বলেছেন। বর্তমানে সে ইসলামকাটি ইউনিয়নের কিশোর-কিশোরী ক্লাবের কো–অর্ডিনেটর এবং ইউনিয়নের সংরক্ষিত আসনের মহিলা সদস্য জয়ন্তী রানী দাসের বাড়ি রয়েছে। আগামী রোববার অফিস খুললে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।