ফেনীতে থেমে থাকা বাসে ও বগুড়ায় চলন্ত ট্রাকে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফেনীর মহিপাল এলাকায় একটি দাঁড়িয়ে থাকা বাসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। আজ রোববার রাতে তোলা
ছবি: প্রথম আলো

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফেনীর মহিপাল এলাকায় আজ রোববার রাতে একটি দাঁড়িয়ে থাকা বাসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এতে বাসটি সম্পূর্ণ পুড়ে যায়। প্রায় একই সময়ে বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলায় চলন্ত ট্রাক থামিয়ে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা।

রোববার রাত সোয়া আটটার দিকে মহিপাল এলাকায় বাসস্ট্যান্ডের সামনে এ ঘটনা ঘটে। ফেনী ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন কর্মকর্তা আবদুল মজিদ বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, রাত সোয়া আটটার দিকে আগুন লাগার খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। ফেনী-নোয়াখালী আঞ্চলিক সড়কে চলাচলকারী সুগন্ধা পরিবহনের ওই বাসটি সড়কের সামনে বাসটি দাঁড় করানো ছিল।

বাসের সহকারী মো. ফরহাদ জানান, তাঁরা সারাক্ষণ গাড়িতে ছিলেন। কিন্তু রাত সোয়া আটটার দিকে গাড়ি থেকে নেমে একটু বাইরে গেলে দুর্বৃত্তরা ওই সুযোগে গাড়িতে আগুন দিয়ে পালিয়ে যায়।

বগুড়া-নাটোর মহাসড়কের ওমরপুর–সংলগ্ন ইউসুবপুর এলাকায় ট্রাক পোড়ানো হয়। আজ রোববার সন্ধ্যা সোয়া সাতটার দিকে তোলা

থানা-পুলিশের ধারণা, ৪৮ ঘণ্টার হরতালকে কেন্দ্র করে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের লোকজন এ ঘটনা ঘটাতে পারে। তবে জেলা বিএনপির সদস্যসচিব আলাল উদ্দিন বলেন, ‘শাসক দলের নেতা-কর্মীরা আগুন দিয়ে এখন বিএনপির নেতা-কর্মী ওপর দায় চাপাচ্ছেন। এটি তাঁদের নতুন কৌশল।’

ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ সুপার জাকির হাসানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

ঘটনার পর ছাত্রলীগ-যুবলীগের নেতা-কর্মীদের মহাসড়কে মহড়া দিতে দেখা গেছে। এ ছাড়া হরতালের সমর্থনে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা রোববার সন্ধ্যায় মিছিল ও পিকেটিং করেছেন।

রোববার সন্ধ্যা সোয়া সাতটার দিকে বগুড়া-নাটোর মহাসড়কের ওমরপুর–সংলগ্ন ইউসুবপুর এলাকায় ট্রাক পোড়ানোর ঘটনা ঘটে। হাইওয়ে কুন্দারহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্বাস আলী বলেন, সন্ধ্যায় পণ্য খালাস করে খালি ট্রাকটি বগুড়া থেকে নাটোরের দিকে যাচ্ছিল। বগুড়া-নাটোর মহাসড়কের নন্দীগ্রাম উপজেলার ইউসুবপুরে পৌঁছালে দুর্বৃত্তরা ট্রাক থামিয়ে আগুন দেয়। পরে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।