অস্ত্র আইনে আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের এক সদস্যের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

আদালত
প্রতীকী ছবি

লালমনিরহাটে নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের এক সদস্যকে অস্ত্র আইনে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। তাঁর নাম মাহাদী সাদ্দাম হোসেন ওরফে সবুজ। লালমনিরহাট সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইবুনাল-১–এর বিচারক ও দায়রা জজ মো. মিজানুর রহমান আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে এ রায় দেন।

এ ছাড়া এদিন একই আদালত সন্ত্রাসবিরোধী আইনে তাঁকে ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও এক হাজার টাকা জরিমান এবং তা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের সশ্রম কারাদণ্ডসহ বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন। সব দণ্ড একসঙ্গে কার্যকর হবে।

সাজাপ্রাপ্ত মাহাদী সাদ্দাম হোসেন লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী ইউনিয়নের ভোটমারী গ্রামের মোস্তাফিজুর রহমানের ছেলে। রায় ঘোষণার সময় তিনি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। এরপর তাঁকে বিশেষ পুলিশি পাহারায় লালমনিরহাট জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।

আদালতের নথি ও মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণী সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সদস্যরা ভোটমারী গ্রামের মোস্তাফিজুর রহমানের বাড়িতে গোপন বৈঠক করার সময় রংপুর র‍্যাব-১৩–এর সদস্যরা সেখানে অভিযান চালান। এ সময় চার–পাঁচজন দৌড়ে পালাতে পারলেও মাহাদী সাদ্দাম হোসেন ধরা পড়েন।

তাঁর কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, দুটি তাজা গুলিসহ একটি ম্যাগাজিন উদ্ধার করা হয়। একই সঙ্গে মাহাদী সাদ্দাম হোসেনের ঘরে জঙ্গিসংক্রান্ত ৬১টি বই-পুস্তক ও ২৪৮টি লিফলেট পাওয়া যায়।

আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদে মাহাদী সাদ্দাম হোসেন বলেছিলেন, আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের একজন সক্রিয় সদস্য হিসেবে তিনি দীর্ঘদিন ধরে গোপনে সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিলেন। আটকের পরদিন ২০১৮ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর তাঁর বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে এবং সন্ত্রাসবিরোধী আইনে কালীগঞ্জ থানায় দুটি পৃথক মামলা করা হয়।

রাষ্ট্রপক্ষে লালমনিরহাট জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি আকমল হোসেন আহমেদ বলেন, অস্ত্র ও সন্ত্রাসবিরোধী আইনের দুই মামলায় অভিযুক্ত মাহাদী সাদ্দাম হোসেনকে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন ও ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন বিচারক।

আকমল হোসেন আহমেদ আরও বলেন, সন্ত্রাসবিরোধী আইনের বিভিন্ন ধারায় মাহাদী সাদ্দাম হোসেনকে ছয় মাসের সশ্রম কারাদণ্ড, সাত বছরের কারাদণ্ড ও এক হাজার টাকা জরিমানা (অনাদায়ে আরও তিন মাসের কারাদণ্ড) এবং পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও এক হাজার টাকা অর্থ দণ্ড (অনাদায়ে আরও তিন মাসের কারাদণ্ড) দিয়েছেন বিচারক। সব সাজা একসঙ্গে কার্যকর হবে।